আবুল হাসান
বনভূমির ছায়া
কথা ছিল তিনদিন বাদেই আমরা পিকনিকে যাব,বনভূমির ভিতরে আরও গভীর নির্জন বনে আগুন ধরাব,আমাদের সব শীত ঢেকে দেবে সূর্যাস্তের বড়
বৃষ্টি চিহ্নিত ভালোবাস
মনে আছে একবার বৃষ্টি নেমেছিল? একবার ডাউন ট্রেনের মতো বৃষ্টি এসে থেমেছিলআমাদের ইস্টিশনে— সারাদিন জল ডাকাতের মতোউৎপাত শুরু কোরে দিয়েছিল
মাতৃভাষা
আমি জানিনা দুঃখের কী মাতৃভাষাভালোবাসার কী মাতৃভাষাবেদনার কী মাতৃভাষাযুদ্ধের কী মাতৃভাষা।আমি জানিনা নদীর কী মাতৃভাষানগ্নতার কী মাতৃভাষাএকটা নিবিড় বৃক্ষ কোন
তুমি
তুমি শিল্পিত বৃক্ষের চূড়ও দেবদারুর মতোমুগ্ধ কিন্নরের অবিনাশী গান!অকরিক লোহার খনিজে ভরা অন্ধকার বস্ত্র ও আগুন!তুমি অহোরাত্রি শুধু বিশুদ্ধির!উটপাখির যুগল
বন্দুকের নল শুধু নয়
এমনও সময় আসেবন্দুকের নল শুধু নয়, মানুষেরও বুক বড় বেদনায়বেজে ওঠে ব্যথায় বারুদে– আর তাতে হাওয়া লাগে…আর তাতে জ্বলে যায়…ভস্মীভূত
প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী
অতো বড় চোখ নিয়ে, অতো বড় খোঁপা নিয়েঅতো বড় দীর্ঘশ্বাস বুকের নিশ্বাস নিয়েযতো তুমি মেলে দাও কোমরের কোমল সারশযতো তুমি
প্রশ্ন
চোখ ভরে যে দেখতে চাওরঞ্জন রশ্মিটা চেনো তো?বুক ভরে যে শ্বাস নিতে চাওজানো তো অক্সিজেনের পরিমাণটা কত?এত যে কাছে আসতে
তুমি ভালো আছো
হৃৎপিণ্ড থেকে দুটি দুঃখময় জাগরণচোখের গোলকে এনে দেখছি তোমাকে,তুমি ভালো আছো? বুকের বাঁ পাশ থেকে কারুকার্য্যময় একটি দীর্ঘনিশ্বাসআমি নিদ্রাহীন আত্মার
জ্যোৎস্নায় তুমি কথা বলছো না কেন।
প্রতিটি নতুন কথা বলাটাই হলো আমাদের প্রেম,প্রতিটি নতুন শব্দই হলো শিল্পকলার সীমাঃহে অসীমা তুমি কথা বলছো না কেন ?ওষ্ঠে কাঁপন
বদলে যাও, কিছুটা বদলাও
কিছুটা বদলাতে হবে বাঁশীকিছুটা বদলাতে হবে সুরসাতটি ছিদ্রের সূর্য; সময়ের গাঢ় অন্তঃপুরকিছুটা বদলাতে হবেমাটির কনুই , ভাঁজরক্তমাখা দুঃখের সমাজ কিছুটা
একলা বাতাস
নোখের ভিতর নষ্ট ময়লা,চোখের ভিতর প্রেম,চুলের কাছে ফেরার বাতাসদেখেই শুধালেম,এখন তুমি কোথায় যাবে?কোন আঘাটার জল ঘোলাবে?কোন আগুনের স্পর্শ নেবেরক্তে কি
আকাঙ্খা
তুমি কি আমার আকাশ হবে?মেঘ হয়ে যাকে সাজাবআমার মনের মত করে । তুমি কি আমার নদী হবে?যার নিবিড় আলিঙ্গনে ধন্য