আরণ্যক বসু
যে মেয়েটি চলে গেছে
ঐ টুকু তার চাওয়া ছিলএক চিলতের দাওয়াশিউলি শরৎ ছটফটে মেঘসারা আকাশ ছাওয়াযেতে গিয়েও থমকে যাওয়াপ্রানের কুটুমজনঘর পেরিয়ে ধান ভরা মাঠসবুজ
আজ চৈতালি পূর্ণিমা!
চাঁদ উঠছে, ভয়ের অন্ধকার দূরকরা এক বিশাল রুপোর থালাথেকে গলে গলে নামছে, আহা,ভালোবাসার চন্দ্রমা–কানের কাছে বিরক্তিকর বেজে ওঠা কাঁসর ঘন্টা,ধানিপটকাগুলো
আঠারো আনার শেষে
বেপরোয়া মনে ভরা প্লাবনের শুধু ছারখার ঢেউ,কিন্তু রাধার যন্ত্রণা বোঝে? কৃষ্ণ নামের কেউ?কৃষ্ণ এখন আঘাটা পেরিয়ে জনপ্রতিনিধি হবে,শেষরাতে ভীরু চাঁদের
আর কিচ্ছু না
সব ঠিক হবে?ঠিক হবে সব?ঠিকঠাক সব হবে?অলকানন্দা ঝাঁপিয়ে পড়বেদুরন্ত উৎসবে?চোখ খুললেই চেতনার রঙেপান্না সবুজ বনে?শীত ফিরে গেলে প্রিয় ঋতুরাজঅনুভবে, অকারণে!সব
অ্যালবাম
মা, তোমাকে হটাত এই২০শে সেপ্টেম্বরের ভোরে মনে পড়লো।এই মেঘ ও রৌদ্রের শারদীয়া আলোতোমার ফোটোতে আলোকসম্পাতের মতো খেলা করছে।মা তোমাকে মনে
কোজাগরী
তোমাকে বলেছিলামকোজাগরীর চাঁদ চোরাগোপ্তা মেঘেরকোঁচকানো ভুরু সহ্য করবে নাদেখলে, মিলে গেল! ঠিক পাঁচটায় কেমন ঝাঁটপাট দেওয়াতকতকে আকাশের উঠোনযেন উপবাসসুন্দর একটি
মোম আলোর বৃত্তে
এই, তোর সব আঙুলগুলো বাড়িয়ে দিবি?চিবুকের বিষন্নতা, দিবি?চোখের পাতায় যে নক্ষত্রজল মুক্তো হয়ে গেল!যে-কথা বলতে পারলি না, দিবি?চৈত্রের ঝরা পাতা
শিউলির গন্ধ!
প্রতিটি কমলা রঙের ভোরে,তোমার চোখের পাতায় তিনটি চুম্বন দিলে,বিশ্বাস করো,শিউলির গন্ধ পাই!ভোরের ওই আশ্চর্য সময়টুকুই তাই বেছে নিই,শুধু আশ্বিন নয়,
মনে থাকবে?
পরের জন্মে বয়স যখন ষোলোই সঠিকআমরা তখন প্রেমে পড়বোমনে থাকবে? বুকের মধ্যে মস্তো বড় ছাদ থাকবেশীতলপাটি বিছিয়ে দেব;সন্ধে হলে বসবো
যেন বলে ওঠে
আসলে কথারা সব বিলুপ্ত পাখির ঠোঁটে শিলালিপি হয়ে আছেআসলে কথারা সব নিঃশেষে মুছে গেছে আলোকবর্ষ দূরেতারাহীন নীল অন্ধকারেআসলে কথারা এসে