কাজী নজরুল ইসলাম
বাংলাদেশ
নমঃ নমঃ নমঃ বাঙলা দেশ মমচির-মনোরম চির-মধুর।বুকে নিরবধি বহে শত নদীচরণে জলধির বাজে নূপুর॥ শিয়রে গিরি-রাজ হিমালয় প্রহরীআশিস্-মেঘবারি সদা তাঁর
প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়
যায় মহাকাল মূর্ছা যায়প্রবর্তকের ঘুর-চাকায় ।যায় অতীতকৃষ্ণ-কায়যায় অতীতরক্ত-পায়-যায় মহাকাল মূর্ছা যায়প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়!প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়! যায় প্রবীণচৈতি-বায়,আয় নবীনশক্তি আয়।যায় অতীতযায় পতিত, ‘আয়
ঈদ মোবারক
শত যোজনের কত মরুভূমি পারায়ে গো,কত বালুচরে কত আঁখি-ধারা ঝরায়ে গো,বরষের পরে আসিলে ঈদ!ভুখারীর দ্বারে সওগাত ব’ইয়ে রিজওয়ানের,কন্টক-বনে আশ্বাস এনে
বিদ্রোহী
বল বীর –বল উন্নত মম শির!শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!বল বীর –বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা
কারার ঐ লৌহ-কপাট
১কারার ঐ লৌহকপাট,ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট,রক্ত-জমাটশিকল পূজার পাষাণ-বেদী।ওরে ও তরুণ ঈশান!বাজা তোর প্রলয় বিষাণ!ধ্বংস নিশানউড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি। ২গাজনের
সাম্যবাদী
গাহি সাম্যের গান-যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধানযেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুস্লিম-ক্রীশ্চান।গাহি সাম্যের গান।কে তুমি?- পার্সী? জৈন? ইহুদী? সাঁওতাল, ভীল, গারো?কন্ফুসিয়াস্?
মা
যেখানেতে দেখি যাহামা- এর মতন আহাএকটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,মায়ের মতন এতআদর সোহাগ সে তোআর কোনখানে কেহ পাইবে ভাই!
মোতাহার হোসেন কে লেখা কাজী নজরুলের চিঠি
১৫ জুলিয়াটোলা স্ট্রীট, কলিকাতা০৮-০৩-২৮সন্ধ্যা প্রিয় মতিহার,পরশু বিকালে এসেছি কোলকাতা । ওপরে ঠিকানাই আছে । ওর আগেই আসবার কথা ছিল ।
নার্গিসকে লেখা চিঠি
১ জুলাই ১৯৩৭ কল্যাণীয়াসু, তোমার পত্র পেয়েছি সেদিন নব বর্ষার নবঘন-সিক্ত প্রভাতে। মেঘ মেদুর গগনে সেদিন অশান্ত ধারায় বারি ঝরছিল।
বিদায় বেলায়
তুমি অমন ক’রে গো বারে বারে জল-ছল-ছল চোখে চেয়ো না,জল-ছল-ছল চোখে চেয়ো না।ঐ কাতর কন্ঠে থেকে থেকে শুধু বিদায়ের গান
আশা
হয়ত তোমার পাব’ দেখা,যেখানে ঐ নত আকাশ চুমছে বনের সবুজ রেখা।।ঐ সুদূরের গাঁয়ের মাঠে,আ’লের পথে বিজন ঘাটে;হয়ত এসে মুচকি হেসেধ’রবে
আপন পিয়াসী
আমার আপনার চেয়ে আপন যে জনখুঁজি তারে আমি আপনার,আমি শুনি যেন তার চরণের ধ্বনিআমারি তিয়াসী বাসনায়।।আমারই মনের তৃষিত আকাশেকাঁদে সে