কণ্ঠলগ্ন সাপ তুমি বেড়ে উঠো ধীরে
বয়স বাড়ার মতো,
লতায় পাতায় ঢাকো গেরুয়া জমিন জোড়া বৃক্ষের আকার—
ঢাকো দিন, রাত-দিন একাকার করে দাও আঁধারে আলো,
হাতে হাতে জল দাও পত্র-পুষ্প শিরে,
জন্ম থেকে তুলে নাও
পরিপুষ্ট তিথিজোড়া
রক্তভুমি বীজ। শেকড়েই গড়ো ঘর
সাপ তুমি,–সোনালি ফনায় আছো আদি জাগরণে
ক্রমান্বয়ে হেলেদুলে উর্ধ্বগামী শাখা
সূর্যের গমনে ঝুলো পুবে ও পশ্চিমে …
সবুজ দেহের সাথে ঝুলে আছো
আরেকটা পিপাসার ঘোরে
বোঝো না সময়ভার তড়িঘড়ি দুর্দন্ড প্রহর—
আকণ্ঠ পান করো টলমল নবীন নহবত,
দূর থেকে ডাক দাও, তুলে নাও সমুদ্রের স্বর
গভীর প্রদেশে যাও, ব্যাপে থাকো তৃণভূমি;
দূরে থাকে রাজ্যপাট, সিংহাসন রাজার মুকুট
রাজদণ্ড অবিচল,
খা খা করে পাত্রমিত্র অমাত্য চেআর—
ভুলে যাও সবকিছু, নদী ও যৌবন;
কেবল যাবার থাকে, সাথে যায়
জন্ম থেকে বয়ে নেয়া নিম্নগামী ছায়া!
বালিকা ও আমি
বালিকা ফুল ভালোবাসে। আমি ভালোবাসি প্রজাপতি, পাখার রঙিন ঢেউ, সোনালি রেণু- বালিকা চঞ্চল হয়, হাওয়ায়-হাওয়ায় ওড়ে পাহাড়ে, সবুজ ঘাসের নিচে