জয় গোস্বামী
প্রাক্তন
ঠিক সময়ে অফিসে যায়?ঠিক মতো খায় সকালবেলা?টিফিনবাক্স সঙ্গে নেয় কি?না ক্যান্টিনেই টিফিন করে?জামা কাপড় কে কেচে দেয়?চা করে কে আগের
ভরত মণ্ডলের মা
বৃদ্ধা বললেন:‘আমার এক ছেলে গেছে,আরেক ছেলে কে নিয়ে যাকজমি আমি দেব না ওদের |এই যে হাত দু’টো দেখছো বাবা…’ব’লে তাঁর
স্পর্শ
এতই অসাড় আমি, চুম্বনও বুঝিনি ।মনে মনে দিয়েছিলে, তাও তো সে না-বোঝার নয়-ঘরে কত লোক ছিল, তাই ঋণ স্বীকার করিনি
ফুটকড়াই
পরির পাশে পরির বোন,দাঁড়িয়ে আছে কতক্ষণ।জ্বর থেকে তো উঠল কাল,রোদের তাপে মুখটি লাল।লম্বা লাইন ইস্কুলের,দাও দারোয়ান গেট খুলে।পরির পাশে পরির
প্রেমিক
তুমি আমাকে মেঘ ডাকবার যে বইটা দিয়েছিলে একদিনআজ খুলতেই দেখি তার মধ্যে এক কোমর জল।পরের পাতায় গিয়ে সে এক নদীর
একটি দুর্বোধ্য কবিতা
এবার লক্ষ্মীশ্রী মুছে গেছেলেগেছে কি তীব্র রূপটানএইবার পথে বেরোলেইসকলের চক্ষু টানটানবাড়ি ফিরে সেই এক সংসারসেই এক সাধারণ স্বামীআজ শান্ত, কাল
স্নান
সংকোচে জানাই আজ: একবার মুগ্ধ হতে চাই।তাকিয়েছি দূর থেকে। এতদিন প্রকাশ্যে বলিনি।এতদিন সাহস ছিল না কোনো ঝর্ণাজলে লুণ্ঠিত হবার –আজ
মেঘ বালিকার জন্য রূপকথা
আমি যখন ছোট ছিলামখেলতে যেতাম মেঘের দলে,একদিন এক মেঘবালিকা প্রশ্ন করলো কৌতুহলে–“এই ছেলেটা,নাম কি রে তোর?” আমি বললাম,’ফুসমন্তর !’মেঘবালিকা রেগেই
মেঘ বলতে আপত্তি কি ?
মেঘ বলতে আপত্তি কি ?বেশ, বলতে পরিছাদের ওপর মেঘ দাঁড়াতোফুলপিসিমার বাড়িগ্রীষ্ম ছুটি চলছে তখনতখন মানে ? কবে ?আমার যদি চোদ্দো,
পাগলী, তোমার সঙ্গে…
পাগলী, তোমার সঙ্গে ভয়াবহ জীবন কাটাবপাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোবালি কাটাব জীবনএর চোখে ধাঁধা করব, ওর জল করে দেব কাদাপাগলী, তোমার
টিউটোরিয়াল কবিতা
তোমাকে পেতেই হবে শতকরা অন্তত নব্বই (বা নব্বইয়ের বেশি)তোমাকে হতেই হবে একদম প্রথমতার বদলে মাত্র পঁচাশি!পাঁচটা নম্বর কম কেন? কেন
নুন
আমরা তো অল্পে খুশি,কী হবে দুঃখ করে?আমাদের দিন চলে যায়সাধারণ ভাতকাপড়ে। চলে যায় দিন আমাদেরঅসুখে ধারদেনাতেরাত্তিরে দুভায়ে মিলেটান দিই গঞ্জিকাতে।