বার বার বাঁশি তো বাজে না, বাঁশি শুধু একবারই বাজে।
তামাটে কিশোর তুই সারারাত বাজালি নিশিথ,
বাজালি ব্যথার হাড়, প্রিয় বুক, হিমেল-খোয়াব।
রজনী পোহায়ে এলো, ঢ’লে পড়ে নিঘুম-শিশির
আলোর করাত কাটে ফালি ফালি তিমিরের তনু
তবু তোর বাঁশি তো বাজে না!
হাড়ের পাঁজর বাজে
বাজে হিয়া, রক্ত-মাংশ, চরাচর, নিখিলের নীড়,
হৃদয়ের স্বপ্ন বাজে-তবু কেন বাঁশিটি বাজে না?
তামাটে রাখাল তুই সারাদিন বাজালি বাতাস
বিরান বিলের বুকে নিঃসঙ্গতা বাজালি রে তোর।
কবে কোন উদাসিন বাউলের একতারাখানি
যেইভাবে বেজেছিলো -যেইভাবে বাজে প্রাণ, বাজে দেহ,
সেই সুর হারালি কোথায় তুই তামাটে রাখাল?
বাঁশি তো বাজে না তোর!
তামাটে রাখাল তোর বাঁশিটি বাজে না কেন?
বাজে তোর নিঃসঙ্গতা, বাজে তনু, ব্যথিত খোয়াব,
গহন সুরের মতো বাজে তোর দিবস রজনী-
তবু কেন বাঁশিটি বাজে না?
একবার বেজেছিলো বাঁশি- বাঁশি শুধু একবারই বাজে?