তারাপদ রায়
দু-চার বছর
মাঝে মধ্যে দেখা হবে। মাঝে মধ্যে চোখের আড়ালেদু-চার বছর কিংবা ধরো সেই জীবনানন্দেরজীবন গিয়েছে চলে কুড়ি কুড়ি বছরের পার ;এইভাবে
এক জন্ম
অনেকদিন দেখা হবে নাতারপর একদিন দেখা হবে।দুজনেই দুজনকে বলবো,‘অনেকদিন দেখা হয় নি’।এইভাবে যাবে দিনের পর দিনবৎসরের পর বৎসর।তারপর একদিন হয়ত
স্মাইল প্লিজ
স্মাইল প্লিজ, আপনারা প্রত্যেকেই একটু হাসুন,দয়া করে তাড়াতাড়ি, তা না হলে রোদ পড়ে গেলেআপনারা যে রকম চাইছেন তেমন হবে না,তেমন
তিনি আমার ছায়া
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখি।চুল আঁচড়াই,দাড়ি কামাই,কখনও নিজেকে ভাল করে দেখি,ফিসফিস করে নিজেকে জিজ্ঞাসা করি,‘কেমন আছ, তারাপদ?’কখনও কখনও নিজেকে বলি,‘ছেষট্টি
প্রিয়তমাসু
অনেকদিন পর কাগজ-কলম নিয়ে বসেপ্রথম একটা চাঁদের ছবি আঁকি, সঙ্গে কিছু মেঘ। তারপর যথেষ্ট হয়নি ভেবে গোটা তিনেক পাখি,ক্রমশ একটা
এখন
মনে নেই,আমি নিজে ফিরে গিয়েছিলাম, অথবাতোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম,এখনআর কিছু মনে নেই, তবু দুঃখ হয়এখন, যখন একেকদিন খুব বৃষ্টি নেমে আসেএখন,
পুরনো শহরতলিতে
আবার ফিরে এলাম,আর একটু খোঁজ নিয়ে এলেই ভাল হত।বাড়ির সামনের দিকেএকটা কয়লার দোকান ছিলকাঠ, কয়লা, কেরোসিন – খুচরো কেনা বেচা,কেউ
সব কথা তোমাকে জানাবো ভেবেছিলাম
সব কথা তোমাকে জানাবো ভেবেছিলামকিনে এনেছিলাম আকাশী রঙের বিলিতি হাওয়াই চিঠিসে চিঠির অক্ষরে অক্ষরে লেখা যেতকেন তোমাকে এখনো চিঠি লেখার
দিন আনি, দিন খাই
আমরা যারা দিন আনি, দিন খাই,আমরা যারা হাজার হাজার দিন খেয়ে ফেলেছি,বৃষ্টির দিন, মেঘলা দিন, কুয়াশা ঘেরা দিন,স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অধীর
আমি লিখিনি
কোথাও ছাপার ভুল হয়ে গেছে৷ ভীষণ, বিচ্ছিরিএ পদ্য আমার নয়, এই আলপনা, এই পিঁড়ি;এই ছবি আমি তো আঁকিনি,এই পদ্য আমি
ভুল
কোনটা যে চন্দ্রমল্লিকার ফুলআর কোনতা যে সূর্যমুখী –বারবার দেখেওআমার ভুল হয়ে যায়,আমি আলাদা করতে পারি না৷ওলকপি এবং শালগম,মৃগেলের বাচ্চা এবং
দারিদ্র্য রেখা
আমি নিতান্ত গরীব ছিলাম, খুবই গরীব।আমার ক্ষুধার অন্ন ছিল না,আমার লজ্জা নিবারণের কাপড় ছিল না,আমার মাথার উপরে আচ্ছাদন ছিল না।অসীম