দেশের কবিতা
এক গাঁয়ে
আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি।সেই আমাদের একটিমাত্র সুখ।তাদের গাছে গায় যে দোয়েল পাখিতাহার গানে আমার নাচে বুক।তাহার দুটি পালন-করা ভেড়াচরে
আমি কোনো আগন্তুক নই আহসান হাবীব
আসমানের তারা সাক্ষীসাক্ষী এই জমিনের ফুল, এইনিশিরাইত বাঁশবাগান বিস্তর জোনাকি সাক্ষীসাক্ষী এই জারুল জামরুল, সাক্ষীপুবের পুকুর, তার ঝাকড়া ডুমুরের ডালে
মাতৃভূমি, কী যেন তোমার নাম ছিলো?
পাঠ্যবই থেকে অপমানে ঝরে পড়েগৌরবের পঙক্তিমালা—৭ই মার্চ প্রশ্ন করে ২৬শে মার্চকেতুমি কি শুনতে পাওজনসমুদ্রে জোয়ারের ধ্বনি?বাংলার বধির পাহাড়ওলজ্জায় নত হয়,সাগরের
বাংলাদেশ
নমঃ নমঃ নমঃ বাঙলা দেশ মমচির-মনোরম চির-মধুর।বুকে নিরবধি বহে শত নদীচরণে জলধির বাজে নূপুর॥ শিয়রে গিরি-রাজ হিমালয় প্রহরীআশিস্-মেঘবারি সদা তাঁর
বাঙালি, একটি ফিনিক্সপাখি
আমরা বাহান্নতে মরেছি দলে দলে, আমরা একাত্তরে মরেছি ঝাঁকে ঝাঁকে, আমরা পঁচাত্তরে মরেছি সপরিবারে। প্রতিটি মৃত্যুর পর আমরা আবার জেগে উঠেছি, যেভাবে জেগে
যতদূর বাংলা ভাষা
যতদূর বাংলা ভাষা, ততদূর এই বাংলাদেশ।দরিয়ানগরে জন্ম, পৃথিবীর সর্ব প্রান্ত আমার স্বদেশ।। এ বাংলার হাটে মাঠে, ধানীরং কিষাণীর বাটে,দিগন্তের মেঠোপথে,
আমাকে কী মাল্য দেবে, দাও
তোমার পায়ের নিচে আমিও অমর হব,আমাকে কী মাল্য দেবে, দাও। এই নাও আমার যৌতুক, এক-বুক রক্তের প্রতিজ্ঞা।ধুয়েছি অস্থির আত্মা শ্রাবণের
মাতৃভূমির জন্য
আমার বয়স তখন কতোই বা! চার কিংবা পাঁচ।অথচ আমার স্মৃতিকে আজও অন্ধকার করে দেয়সেই সময়ের এক রাশ কালো ধোঁয়াকুণ্ডলী পাকিয়ে
তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও
তোমরা যেখানে সাধ চ’লে যাও — আমি এই বাংলার পারের’য়ে যাব; দেখিব কাঁঠালপাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে;দেখিব খয়েরি ডানা শালিখের সন্ধ্যায়
শুভেচ্ছা
ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো।ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো।ভালো থেকো মেঘ, মিটিমিটি তারা।ভালো থেকো পাখি, সবুজ
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ
তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ তোমার মানচিত্রের ভেতরেযার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তেরোশো নদীর ধারা ;তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ
তুমিই শুধু তুমি
তোমার দেহে লতিয়ে ওঠা ঘন সবুজ শাড়ি।কপালে ওই টকটকে লাল টিপ।আমি কি আর তোমাকে ছেড়েকোথাও যেতে পারি?তুমি আমার পতাকা, আমার