নির্মলেন্দু গুণ
ক্ষেত মজুরের কাব্য
মুগর উঠছে মুগর নামছে ভাঙছে মাটির ঢেলা, আকাশে মেঘের সাথে সূর্যের জমেছে মধুর খেলা। ভাঙতে ভাঙতে বিজন মাঠের কুয়াশা গিয়েছে কেটে, কখন শুকনো মাটির তৃষ্ণা শিশির
বিষ্টি
আকাশ জুড়ে মেঘের খেলাবাতাস জুড়ে বিষ্টি,গাছের পাতা কাঁপছে আহাদেখতে কী যে মিষ্টি!কলাপাতায় বিষ্টি বাজেঝুমুর নাচে নর্তকী,বিষ্টি ছাড়া গাছের পাতাএমন করে
আমাকে কী মাল্য দেবে, দাও
তোমার পায়ের নিচে আমিও অমর হব,আমাকে কী মাল্য দেবে, দাও। এই নাও আমার যৌতুক, এক-বুক রক্তের প্রতিজ্ঞা।ধুয়েছি অস্থির আত্মা শ্রাবণের
গভরমেন্টের টাকা
আম উঠেছে, জাম উঠেছে, কাঁঠাল পাকা-পাকা,কিন্তু কিছুই কেনা যাচ্ছে না, পকেটে নেই টাকা।‘কোথায় পাবো টাকা? কোথায় গেছে টাকা?’ ধমক দিয়ে
ক্ষেত মজুরের কাব্য
মুগর উঠছে মুগর নামছেভাঙছে মাটির ঢেলা,আকাশে মেঘের সাথে সূর্যেরজমেছে মধুর খেলা। ভাঙতে ভাঙতে বিজন মাঠেরকুয়াশা গিয়েছে কেটে,কখন শুকনো মাটির তৃষ্ণাশিশির
অমীমাংসিত রমনী
সদরঘাটে পৌছুতেই শুরু হয়ে গেলো বৃষ্টি,ছোট ছোট ফোঁটা হলে নিয়ে নিতাম মাথায়,কিন্তু বৃষ্টির ফোঁটাগুলো ছিলো বেশ বড় সড়,তাই অগত্যা দৌড়ে
উল্লেখযোগ্য স্মৃতি
আমার ভালোবাসা কিংবা প্রেম-সংক্রান্তকোনো স্মৃতি নেই, যাকে ঠিক ভালোবাসাকিংবা প্রেম বলা যায়। একদিন টুকুদি নাকের ডগার বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখেবলেছিল:
দন্ডকারণ্য
প্রায় ত্রিশ বছর পর আজ হঠাৎ রেখার চিঠি পেয়েআমি তো অবাক। পাছে চিনতে ভুল করি তাইনিজের পরিচয় দিয়েই রেখা শুরু
সেই রাত্রির কল্পকাহিনী
তোমার ছেলেরা মরে গেছে প্রতিরোধের প্রথম পর্যায়ে,তারপর গেছে তোমার পুত্রবধূদের হাতের মেহেদী রঙ,তারপর তোমার জন্মসহোদর, ভাই শেখ নাসের,তারপর গেছেন তোমার
কসাই
একদিন এক বিজ্ঞ কসাইডেকে বললোঃ ‘এই যে মশাই,বলুন দেখি, পাঁঠা কেন হিন্দুরা খায়,গরু কেন মুসলিমে?’আমি বললামঃ ‘ সে অনেক কথা,ফ্রেশ
আকাশ সিরিজ
শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,ঐ আনন্দে কেটে যাবে সহস্র জীবন।শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,অহংকারে মুছে যাবে সকল দীনতা।শুধু তোমাকে একবার ছোঁব,স্পর্শসুখে লিখা
আমি চলে যাচ্ছি
জয় করবার মতো একটি মনও যখন আর অবশিষ্ট নেই,তখন আমার আর বসে থেকে কী প্রয়োজন? আমি যাই।তোমরা পানপাত্র হাতে হোয়াং