নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
অমলকান্তি
অমলকান্তি আমার বন্ধু,ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো,পড়া পারত না,শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলেএমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো
অমানুষ
শিম্পাঞ্জি, তোমাকে আজ বড় বেশি বিমর্ষ দেখলুমচিড়িয়াখানায়। তুমি ঝিলের কিনারে।দারুণ দুঃখিতভাবে বসে ছিলে। তুমিএকবারও উঠলে না এসে লোহার দোলনায়;চাঁপাকলা, বাদাম,
তোমাকে নয়
যেন কাউকে কটুবাক্য বলবার ভীষণপ্রয়োজন ছিল।কিন্তু না, তোমাকে নয়; কিন্তু না, তোমাকে নয়।যেন যত দুঃখ আমি পেয়েছি, এবারেচতুর্গুণ করে তাকে
মিলিত মৃত্যু
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়।বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে।বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো।অন্তত আর যাই করো,
সূর্যাস্তের পর
সূর্য ডুবে যাবার পরহাসির দমকে তাদের মুখের চামড়া কুঁচকে গেল,গালের মাংস কাঁপতে লাগল,বাঁ চোখ বুঁজে, ডান হাতের আঙুল মটকেতারা বলল,“শত্রুরা
আবহমান
যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া,লাউমাচাটার পাশে।ছোট্ট একটা ফুল দুলছে, ফুল দুলছে, ফুলসন্ধ্যার বাতাসে। কে এইখানে এসেছিল অনেক বছর আগে,কেউ
হঠাৎ হাওয়া
হঠাৎ হাওয়া উঠেছে এই দুপুরেআকাশী নীল শান্তি বুঝি ছিনিয়ে নিতে চায়।মালোঠিগাঁও বিমূঢ়, হতবাক।মেঘের ক্রোধ গর্জে ওঠে ঝড়ের ডঙ্কায়।এখনই এল ডাক।মন্দাকিনী
হলুদ আলোর কবিতা
দুয়ারে হলুদ পর্দা। পর্দার বাহিরে ধুধু মাঠআকাশে গৈরিক আলো জ্বলে।পৃথিবী কাঞ্চনপ্রভা রৌদ্রের অনলে শুদ্ধ হয়।কারা যেন সংসারের মায়াবী কপাটখুলে দিয়ে
মেলার মাঠে
হাতখানা যার শক্ত করেআঁকড়ে ধরে রেখেছিলাম,হঠাৎ কখন ছিটকে গিয়েএই মাঠে সে হারিয়ে গেছে! এখন তাকে খুঁজব কোথায়!কোত্থেকে যে কোন্খানে যায়নিরুদ্দিষ্ট
উলঙ্গ রাজা
সবাই দেখছে যে, রাজা উলঙ্গ, তবুওসবাই হাততালি দিচ্ছে।সবাই চেঁচিয়ে বলছে; শাবাশ, শাবাশ!কারও মনে সংস্কার, কারও ভয়-কেউ-বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের