প্রকৃতি বিষয়ক কবিতা
এক গাঁয়ে
আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি।সেই আমাদের একটিমাত্র সুখ।তাদের গাছে গায় যে দোয়েল পাখিতাহার গানে আমার নাচে বুক।তাহার দুটি পালন-করা ভেড়াচরে
বিষ্টি
আকাশ জুড়ে মেঘের খেলাবাতাস জুড়ে বিষ্টি,গাছের পাতা কাঁপছে আহাদেখতে কী যে মিষ্টি!কলাপাতায় বিষ্টি বাজেঝুমুর নাচে নর্তকী,বিষ্টি ছাড়া গাছের পাতাএমন করে
এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে
এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে—সবচেয়ে সুন্দর করুণ ;সেখানে সবুজ ডাঙা ভরে আছে মধুকূপী ঘাসে অবিরল; সেখানে গাছের নাম : কাঁঠাল, অশ্বত্থ,
বৃষ্টি
কেঁদেও পাবে না তাকে বর্ষার অজস্র জলধারে।ফাল্গুন বিকেলে বৃষ্টি নামে।শহরের পথে দ্রুত অন্ধকার।লুটোয় পাথরে জল, হাওয়া তমস্বিনী;আকাশে বিদ্যুৎজ্বলা বর্শা হানে
অঘ্রাণ
আমি এই অঘ্রাণেরে ভালোবাসি- বিকেলের এই রঙ- রঙের শূন্যতারোদের নরম রোম- ঢালু মাঠ- বিবর্ণ বাদামি পাখি- হলুদ বিচালিপাতা কুড়াবার দিন
বৃষ্টি এলেই
বৃষ্টি এলেই তোমার চুলে খানিক ভুলে গন্ধ নেব,তোমার ঠোঁটেই খুঁজব নেশা, নিকোটিনটা বন্ধ দেব।বেহিসেবি হাটবাজারে, ছেড়েই দেব দামাদামি,বৃষ্টি এলেই বদলে
ঘাস
কচি লেবুপাতার মতো নরম সবুজ আলোয়পুথিবী ভরে গিয়েছে এই ভোরের বেলা;কাঁচা বাতাবির মতো সবুজ ঘাস-তেমনি সুঘ্রাণ-হরিণেরা দাঁত দিয়ে ছিড়ে নিচ্ছে।আমারো
যদি কেউ বলত
এই বর্ষায় হাতে কদম দিয়েযদি কেউ ভালোবাসি বলতকেউ যদি দেখে জ্বলে? তবে তার ইচ্ছে,সে জ্বলত। যদি হাওয়া আসত, উড়িয়ে দিত
সোনারতরী
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।রাশি রাশি ভারা ভারা ধান কাটা হল সারা,ভরা নদী ক্ষুরধারা খরপরশা
মেঘ বালিকার জন্য রূপকথা
আমি যখন ছোট ছিলামখেলতে যেতাম মেঘের দলে,একদিন এক মেঘবালিকা প্রশ্ন করলো কৌতুহলে–“এই ছেলেটা,নাম কি রে তোর?” আমি বললাম,’ফুসমন্তর !’মেঘবালিকা রেগেই
বিপরীত বর্ষা
মেঘের সঙ্গে কথা হবে ভয়ানকচূড়ান্তরূপ বোঝাপড়া হবে আজমেয়েটিকে যদি কাঁদাতেই হবে তবেবৃষ্টিকে কেন শিখিয়েছে কারুকাজ? আকাশের সাথে আজ হবে একহাতদিগন্তে
ইচ্ছে করে হই ইচ্ছে-ঘুড়ি
মনের মাঝে মাঝেমাঝেইতীব্রভাবে ইচ্ছে করেবনপাখিদের গান শোনাবপ্রবলভাবে ইচ্ছে করে স্বপ্নচরেহরেক রঙের ঘুড়ি উড়াবকখনো বা ভাবি আমি মন মাঝিঅকূল পাথারে নাও