বিষ্ণু দে
তুমিই মালিনী
তুমিই মালিনী, তুমিই তো ফুল জানি ।ফুল দিয়ে যাও হৃদয়ের দ্বারে, মালিনী,বাতাসে গন্ধ, উৎস কি ফুলদানি,নাকি সে তোমার হৃদয়সুরভি হাওয়া
জল দাও
তোমার স্রোতের বুঝি শেষ নেই, জোয়ার ভাঁটায়এ-দেশে ও-দেশে নিত্য ঊর্মিল কল্লোলেপাড় গড়ে পাড় ভেঙে মিছিলে জাঠায়মরিয়া বন্যায় যুদ্ধে কখনো-বা ফল্গু
বাংলাই আমাদের
আমরা বাংলার লোক,বাংলাই আমাদের, এদের ওদের সবার জীবন |আমাদের রক্তে ছন্দ এই নদি মাঠ ঘাটএই আমজাম বন,এই স্বচ্ছ রৌদ্রজলে অন্তরঙ্গ
ঘোরসাওয়ার
জন সমুদ্রে নেমেছে জোয়ার,হৃদয় আমার চড়া |চোরাবালি আমি দূর দিগন্তে ডাকি—কোথায় ঘোড়সওয়ার?দীপ্ত বিশ্ববিজয়ী! বর্শা তোলো |কোন ভয়? কেন বীরের ভরসা
তিনটি কাঠবিড়ালী
অনেক দিনের অনেক যত্নে কমিয়েছি সন্ত্রাস।এদিকে আমার ছুটি শেষ হ’ল প্রায়,আজ তিনটেতে গাছ থেকে নেমে বসেছিলো জানলায়।এত ভীরু এত বিনীত
এবং লখিন্দর!
হৃদয় তোমাকে পেয়েছি, স্রোতস্বিনী!তুমি থেকে থেকে উত্তাল হয়ে ছোটো,কখনো জোয়ারে আকণ্ঠ বেয়ে ওঠোতোমার সে-রূপ বেহুলার মতো চিনি।তোমার উৎসে স্মৃতি করে