রাজনৈতিক কবিতা
ভরত মণ্ডলের মা
বৃদ্ধা বললেন:‘আমার এক ছেলে গেছে,আরেক ছেলে কে নিয়ে যাকজমি আমি দেব না ওদের |এই যে হাত দু’টো দেখছো বাবা…’ব’লে তাঁর
কিছু একটা পুড়ছে
কিছু একটা পুড়ছেআড়ালে, বেরেতে, তোষকের তলায়, শ্মশানেকিছু একটা পুড়েছেইআমি ধোঁয়ার গন্ধ পাচ্ছিবিড়ি ধরিয়েছে কেউকেউ উবু হয়ে ফুঁ দিচ্ছে উনুনেকেউ চিতায়
জন্ম মৃত্যু জীবনযাপন
মৃত্যু আমাকে নেবে, জাতিসংঘ আমাকে নেবেনা,আমি তাই নিরপেক্ষ মানুষের কাছে, কবিদের সুধী সমাবেশেআমার মৃত্যুর আগে বোলে যেতে চাই,সুধীবৃন্দ ক্ষান্ত হোন,
স্বাধীনতা
কথাটা ত মিছা লয়লালগড়ের জঙ্গলমহলের সবাই জানেডুমুরগড়্যা, বেণাচাপড়া, বাঁকিশোল,হাতিঘোসা,শালডাঙ্গামোহনপুর, কলাইমুড়ির জানে সবাইদিনের বেলা পুলিশরাতের বেলা উয়ারা,পুলিশ বলে স্বাধীনতাউয়ারা বলে মিছাকথাফের
বাঙলাদেশের কথা (আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম)
যখন আমরা বসি মুখোমুখি, আমাদের দশটি আঙুল হৃৎপিন্ডের মতো কাঁপতে থাকেদশটি আঙুলে, আমাদের ঠোঁটের গোলাপ ভিজে ওঠে আরক্ত শিশিরে,যখন আমরা
সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।নষ্টদের দানবমুঠোতে ধরা পড়বে মানবিকসব সংঘ-পরিষদ; চলে যাবে, অত্যন্ত উল্লাসেচ’লে যাবে এই সমাজ-সভ্যতা-সমস্ত দলিলনষ্টদের
কাল্লু
নামাজ পড়া শেষ।আকাশে আধখানা নিয়তির মতো চাঁদএকটা সাদা এম্বাসেডর এসে দাঁড়াল কাল্লুর ঝুপড়িতে‘জয় শ্রীরাম’কাল্লু বলল- ‘জয় শ্রীরাম’।ওরা তিনজন ছিল। “কাল্লু
গঙ্গাকে আমিও মা বলি
আমি সেই রুকসানা ,গঙ্গাকে আমিও মা বলি।প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো মৃতদেহ,কোন ব্যাগে আমার বাবা?সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত আমি বাবাকে খুঁজছি।ঘাট থেকে ঘাটে
ভাত দে হারামজাদা
ভীষণ ক্ষুধার্ত আছিঃ উদরে, শরীরবৃত্ত ব্যেপেঅনুভূত হতে থাকে- প্রতিপলে- সর্বগ্রাসী ক্ষুধাঅনাবৃষ্টি- যেমন চৈত্রের শষ্যক্ষেত্রে- জ্বেলে দ্যায়প্রভুত দাহন- তেমনি ক্ষুধার জ্বালা,
বাবুমশাই
‘সে ছিল একদিন আমাদের যৌবনে কলকাতা!বেঁচে ছিলাম ব’লেই সবার কিনেছিলাম মাথাআর তাছাড়া ভাই আর তাছাড়া ভাই আমরা সবাই জেনেছিলাম হবেনতুন
তুমি আর নেই সে তুমি
তুমি বললে মানবতাআমি বললে পাপবন্ধ করে দিয়েছে দেশসমস্ত তার ঝাঁপতুমি বললে হিটলারিওজনপ্রেমে ভরাআমি বললে গজদন্ততুমি বললে ছড়া । তুমি বললে
দুই বিঘা জমি
শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে।বাবু বলিলেন, “বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে।’কহিলাম আমি, “তুমি ভূস্বামী,