রুদ্র গোস্বামী
একুশ আগুন রঙের পাখি
একুশ কি মা ?একুশ ?একুশ একটা পাখির জন্মদিন ।পাখি !ওর কি নাম ? কি রঙ ?ওর নাম বাংলা ভাষা ।আর
যদি কেউ বলত
এই বর্ষায় হাতে কদম দিয়েযদি কেউ ভালোবাসি বলতকেউ যদি দেখে জ্বলে? তবে তার ইচ্ছে,সে জ্বলত। যদি হাওয়া আসত, উড়িয়ে দিত
মেয়েটা শিকল ভেঙে বেশ করেছে
আমি ভাবছি, যদি মেয়েরা মা নামের টিপ,স্ত্রী নামের শিকল, মেয়ে নামের হাতঘড়ি,বোন নামের চুড়ি-টুড়ি খুলেএকদিন দুম করে বলে ফেলে,‘আমরা কারো
যেতে পারবে?
এই যে তুমি বার বার চলে যাই বলোধরো তুমি চলে গেছোখানিকক্ষণ পর ফিরে এসে যদি দেখোকষ্টে ভিজে যাচ্ছে আমার বুকআমার
যেতে পারবে?
এই যে তুমি বার বার চলে যাই বলোধরো তুমি চলে গেছোখানিকক্ষণ পর ফিরে এসে যদি দেখোকষ্টে ভিজে যাচ্ছে আমার বুকআমার
মশাল
কন্যা সন্তান প্রসব করার অপরাধেআসামের যে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ?আজ তার মৃত্যু বার্ষিকী।যে কবি সেদিন তার নিরানব্বইতম কবিতাটিমেয়েটাকে উৎসর্গ
বৃষ্টি সোনা তোকে
বৃষ্টি বৃষ্টিজলে জলে জোনাকিআমি সুখ যার মনেতার নাম জানো কী ? মেঘ মেঘ চুল তারঅভ্রের গয়নানদী পাতা জল চোখফুলসাজ আয়না।
প্রেমিক হতে গেলে
ওই যে ছেলেটাকে দেখছ, পছন্দ মতো ফুল ফুটল না বলেমাটি থেকে উপড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলো গাছটাকে ?ছেলেটার ভীষণ জেদ ,
ভালোবাসা
তুই কেমন মেয়ে চাস?-আয়না ছাড়াই সোজা টিপ পরতে পারবে,একাই শাড়ির কুচি ঠিক করতে পারবে,আমি বললে কাজল পরবে।এইটুকু?-হ্যাঁতোর কেমন ছেলে চাই?-হাত
বাংলাদেশ থেকে
যে মেয়েটির চোখের দিকে তাকিয়েআমি পথ ভুল করেছিলামপ্রথম পরিচয়ে সে আমাকে বললতুমি কী আমাকে চেনো?বললাম, তোমার চোখ দুটো এতো সুন্দর!সে
আজ কিছু একটা হোক
আজ একটা দুরন্ত কিছু হোকবৃষ্টি হোক, ঝড় তছনছ করে দিকঅথবা সুখের মতো সে চোখে চোখ রাখুক। আজ একটা ভাঙচুর কিছু
খারাপ লোক
যাওয়ার আগে কি দিচ্ছিস বল?-তেরো নদীর ঢেউযা আমার বুকের ভিতরে তুই ফেলে যাচ্ছিস।আর আমি যে সাত সমুদ্র চিৎকার নিয়ে যাচ্ছি?-যাস