রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
মুখোমুখি দাঁড়াবার দিন
মুখোমুখি দাঁড়াবার এইতো সময়,শত্রু কে চিনে গেছে অমিত মানুষ,হৃদয় জেনেছে ঠিক কতোটা পচন—মুখোমুখি দাঁড়াবার এইতো সময়। বুঝেছে জীবন তার কোথায়
মিছিল
যে যাবে না সে থাকুক, চলো, আমরা এগিয়ে যাই।যে-সত্য জেনেছি পুড়ে, রক্ত দিয়ে যে-মন্ত্র শিখেছি,আজ সেই মন্ত্রের সপক্ষে নেবো দীপ্র
ফাঁসির মঞ্চ থেকে
ফাঁসির মঞ্চ থেকে আমাদের যাত্রার শুরু।এক একটি জন্মের সমান মেধাবী মৃত্যুএক একটি প্রতিজ্ঞা-পুষ্ট মৃত্যুর সোপানদুর্যোগ-অন্ধকারে তুলে রাখে সূর্যময় হাত—তুমুল তিমিরে
মুখোমুখি
আমরা কথা বলতে চাই,আমরা আমাদের ক্ষুধার কথা বলতে এসেছি;আমরা কথা বলবো । তোমরা সঙ্গিন উঁচিয়ে আছোতোমরা রাইফেল তাক কোরে রেখেছোতোমরা
সশস্ত্রবাহিনীর প্রতি
দাঁড়াও, নিজেকে প্রশ্ন করো- কোন পক্ষে যাবে? রাইফেল তাক কোরে আছো মানুষের দিকে ।সঙ্গিন উচিয়ে আছো ধূর্ত নেকড়ের মতো ।পায়ে
ইশতেহার
পৃথিবীতে মানুষ তখনও ব্যক্তিস্বার্থে ভাগ হয়ে যায়নি ।ভুমির কোনো মালিকানা হয়নি তখনো ।তখনো মানুষ শুধু পৃথিবীর সন্তান । অরন্য আর
মাংশভুক পাখি
ফুলের পোশাকে ঢাকা শরীর, দারুন মাংশভুক পাখি,ওই শকুন, ওই হিংস্র গোপন নোখ জু্ড়ে থাকা শত্রু-স্বভাব,আমাদের দিন থেকে খেয়ে যাবে প্রিয়তম
তামাটে রাখাল
বার বার বাঁশি তো বাজে না, বাঁশি শুধু একবারই বাজে।তামাটে কিশোর তুই সারারাত বাজালি নিশিথ,বাজালি ব্যথার হাড়, প্রিয় বুক, হিমেল-খোয়াব।রজনী
বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা
একবার বৃষ্টি হোক, অবিরাম বৃষ্টি হোক উষর জমিনে,নিরীহ রক্তের দাগ মুছে নিক জলের প্লাবন,মুছে নিক পরাজিত ব্যর্থ বাসনার গান, গ্লানির
জীবন যাপন-২
আমরা কি পরস্পরকে অবিশ্বাস করছি !আমাদের ভালো-লাগাগুলো বিতর্কিত হয়ে উঠছে।আমাদের চোখ ক্রমশ উদাসিন হয়ে উঠছে।আমাদের স্পর্শগুলো অনুভূতিহীন হয়ে পড়ছে।আমার কি
অমলিন পরিচয়
সেই থেকে মনে আছে–কপালের ডান পাশে কালো জন্ম-জড়ুলচুলের গন্ধে নেমে আসা দেবদারু-রাতেকতোটা বিভোর হতে পারে উদাস আঙুল,সেই প্রথম অভিজ্ঞতা, সেই
স্বাস্থ্যসম্মত প্রত্যাখ্যান
উঁহু,ওভাবে নয়—ওভাবে দৃষ্টি ফেরাতে নেই,ওরকম প্রত্যাখ্যান স্বাস্থ্যসম্মত নয়।ঠিক ওভাবে প্রত্যাখ্যান করতে হয় না—কিছুটা শিল্পিত হও, না হলে অনিদ্রাকেইচ্ছাহীন ভালোবেসে বাড়বে