জসীম উদ্দীন
বড়াই
গাছের গোড়ায় গর্ত করে ব্যাং বেঁধেছেন বাসা,মনের সুখে গাল ফুলিয়ে গান ধরেছেন খাসা।রাজার হাতি হাওদা -পিঠে হেলে দুলে আসে-বাপরে ব’লে
নন্দগুপি
হঠাৎ কেন দুপুর রোদে চাদর দিয়ে মুড়ি,চোরের মত নন্দগোপাল চলছে গুড়ি গুড়ি?লুকিয়ে বুঝি মুখোশখানা রাখছে চুপি চুপি?আজকে রাতে অন্ধকারে টেরটা
অন্ধকার
গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল শব্দেজেগে উঠলাম আবার ;তাকিয়ে দেখলাম পান্ডুর চাঁদ বৈতরণীর থেকে তার অর্ধেক ছায়াগুটিয়ে নিয়েছে
তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও
তোমরা যেখানে সাধ চ’লে যাও — আমি এই বাংলার পারের’য়ে যাব; দেখিব কাঁঠালপাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে;দেখিব খয়েরি ডানা শালিখের সন্ধ্যায়
দুজন
‘আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন – কতদিন আমিও তোমাকেখুঁজি নাকো; – এক নক্ষত্রের নিচে তবু – একই আলো পুথিবীর পারেআমরা
নগ্ন নির্জন হাত
আবার আকাশের অন্ধকার ঘন হয়ে উঠেছে :আলোর রহস্যময়ী সহোদরার মতো এই অন্ধকার।যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছেঅথচ যার মুখ আমি কোনদিন দেখিনি,সেই
শঙ্খমালা
কান্তারের পথ ছেড়ে সন্ধ্যার আঁধারেসে কে এক নারী এসে ডাকিল আমারে,বলিল , তোমারে চাই :বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার
হাওয়ার রাত
গভীর হাওয়ার রাত ছিল কাল— অসংখ্য নক্ষত্রের রাত;সারা-রাত বিস্তীর্ণ হাওয়া আমার মশারিতে খেলেছে;মশারিটা ফুলে উঠেছে কখনও মৌসুমী সমুদ্রের পেটের মতো,কখনও
ঘাস
কচি লেবুপাতার মতো নরম সবুজ আলোয়পুথিবী ভরে গিয়েছে এই ভোরের বেলা;কাঁচা বাতাবির মতো সবুজ ঘাস-তেমনি সুঘ্রাণ-হরিণেরা দাঁত দিয়ে ছিড়ে নিচ্ছে।আমারো
তোমাকে ভালবেসে
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বলএই জীবনের পদ্মপাতার জল;তবুও এ-জল কোথা থেকে এক নিমিষে এসেকোথায় চ’লে যায়;বুঝেছি আমি তোমাকে ভালোবেসেরাত ফুরোলে পদ্মের
সহজ
আমার এ গানকোনোদিন শুনিবে না তুমি এসে–আজ রাত্রে আমার আহ্বান ভেসে যাবে পথের বাতাসে–তবুও হৃদয়ে গান আসে!ডাকিবার ভাষা তবুও ভুলি
একুশ আগুন রঙের পাখি
একুশ কি মা ?একুশ ?একুশ একটা পাখির জন্মদিন ।পাখি !ওর কি নাম ? কি রঙ ?ওর নাম বাংলা ভাষা ।আর