জসীম উদ্দীন
স্নান
সংকোচে জানাই আজ: একবার মুগ্ধ হতে চাই।তাকিয়েছি দূর থেকে। এতদিন প্রকাশ্যে বলিনি।এতদিন সাহস ছিল না কোনো ঝর্ণাজলে লুণ্ঠিত হবার –আজ
মেঘ বালিকার জন্য রূপকথা
আমি যখন ছোট ছিলামখেলতে যেতাম মেঘের দলে,একদিন এক মেঘবালিকা প্রশ্ন করলো কৌতুহলে–“এই ছেলেটা,নাম কি রে তোর?” আমি বললাম,’ফুসমন্তর !’মেঘবালিকা রেগেই
মেঘ বলতে আপত্তি কি ?
মেঘ বলতে আপত্তি কি ?বেশ, বলতে পরিছাদের ওপর মেঘ দাঁড়াতোফুলপিসিমার বাড়িগ্রীষ্ম ছুটি চলছে তখনতখন মানে ? কবে ?আমার যদি চোদ্দো,
পাগলী, তোমার সঙ্গে…
পাগলী, তোমার সঙ্গে ভয়াবহ জীবন কাটাবপাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোবালি কাটাব জীবনএর চোখে ধাঁধা করব, ওর জল করে দেব কাদাপাগলী, তোমার
টিউটোরিয়াল কবিতা
তোমাকে পেতেই হবে শতকরা অন্তত নব্বই (বা নব্বইয়ের বেশি)তোমাকে হতেই হবে একদম প্রথমতার বদলে মাত্র পঁচাশি!পাঁচটা নম্বর কম কেন? কেন
ইস্তাহার
ধৈর্য ধরোএই সহরতলির ওপর একদিন কুয়াশা ছড়াবে রাত্রি।মুছে যাবে ওই নোংরা সর্পিল গলিআর ভীরু মিটমিটে বাতির পাহারা,উপছে পড়া ওই ডাস্টবিন,জংধরা
ইচ্ছে
এক যে ছিল তেপান্তরকরত কেবল ধু ধু।চাইলে একা থাকার দুঃখেএকটি নদী শুধু। একটি নদী ছোট্ট নদীকুলুকুলু বইবে,সাধ হলে তার সাথে
নন্দিনীর চিঠি শুভঙ্কর কে-৮
আজকাল প্রায়ইবিকেল হওয়ার আগে বিকেলের আলো নিভে যায়।আজকাল প্রায়ইসময় হওয়ার ঢের আগে-ভাগে এসে যায়ঘুমোবার রাত। আকাশের এত কাছে শুয়ে থাকি,
মাধবীর জন্যে
আয়নার পাশে একটু অন্ধকার ছায়া এঁকে দাও।ব্যথিত দৃশ্যের পট জুড়ে থাক চিত্রিক আঁধার।দেয়ালের ছবিটাকে একটু সরাতে হবে ভাই।ওটা নয়, এই
যে টেলিফোন আসার কথা
যে টেলিফোন আসার কথা সে টেলিফোন আসেনি।প্রতীক্ষাতে প্রতীক্ষাতেসূর্য ডোবে রক্তপাতেসব নিভিয়ে একলা আকাশ নিজের শূন্য বিছানাতে।একান্তে যার হাসির কথা হাসেনি।যে
স্মৃতি বড় উচ্ছৃঙ্খল
পুরনো পকেট থেকে উঠে এলকবেকার শুকনো গোলাপ ।কবেকার ? কার দেওয়া ? কোনমাসে ? বসন্তে না শীতে ?গোলাপের মৃতদেহে তারপাঠযোগ্য
কোনো কোনো যুবক যুবতী
একালের কোনো কোনো যুবক বা যুবতীর মুখেসেকালের মোমমাখা ঝাড়লন্ঠন স্তম্ভ ও গম্বুজ দেখা যায়।দেখে হিংসা জাগে। মানুষ এখন যেন কোনো