জসীম উদ্দীন
কখন আসছ তুমি
সকল দুয়ার খোলা আছেনিমন্ত্রণ-লিপি গাছে গাছেগাঢ় চুম্বনের মত আকাশ নদীর খুব কাছেরোদে ঝলোমলো।কখন আসছ তুমি বলো?বেলা যায়, দেরী হয়ে যায়বাসি
আরশিতে সর্বদা এক উজ্জল রমনী
আরশিতে সর্বদা এক উজ্জল রমণী বসে থাকে।তার কোনো পরিচয়, পাসপোর্ট, বাড়ির ঠিকানামানুষ পায়নি হাত পেতে। অনুসন্ধানের লোভে মুলত সর্বতোভাবে তাকে
একমুঠো জোনাকী
একমুঠো জোনাকীর আলো নিয়েফাঁকা মাঠে ম্যাজিক দেখাচ্ছে অন্ধকার।একমুঠো জোনাকীর আলো পেয়েএক একটা যুবক হয়ে যাচ্ছে জলটুঙি পাহাড়যুবতীরা সুবর্ণরেখা।সাপুড়ের ঝাঁপি খুলতেই
স্বপ্নের বিছানা
রাত্রিবেলা বুকের মধ্যে একগোছা বৈদ্যুতিক তারআর নীল রঙের একটা বালব টাঙিয়ে রাখা ভালো।অন্ধকারে গায়ে নীল রঙের জামা পরিয়ে দিলেস্বপ্ন দেখার
তোমার বিষাদগুলি
তোমার বিষাদগুলি করতলে তুলে নিতে দাওওষ্ঠপুটে রাখি। ভীষণ বৃষ্টির শব্দ সারাদিন স্মৃতির ভিতরে।একাকিনী বসে আছ বৃষ্টির ভিতরেবালুকাবেলায়কবেকার উইয়ে-খাওয়া ছবি।তোমার বিষাদগুলি
স্রোতস্বিনী আছে, সেতু নেই
তুমি বললে, রৌদ্র যাও, রৌদ্রে তো গেলামতুমি বললে, অগ্নিকুণ্ড জ্বালো, জ্বালালাম।সমস্ত জমানো সুখ-তুমি বললে, বেচে দেওয়া ভালোডেকেছি নীলাম।তবু আমি একা।আমাকে
সোনার মেডেল
বাবু মশাইরাগাঁ গেরাম থেকে ধুলো মাটি ঘসটে ঘসটেআপনাদের কাছে এয়েছি।কি চাক্ চিকান শহর বানিয়েছেন গো বাবুরা।রোদ পড়লে জোছনা লাগলে মনে
কুষ্ঠরোগীর কবিতা
আমার এ কুষ্ঠরোগসারানো কি কলকাতা শহরের কাজযার হাইড্রেণ্টে জল নেই।তাই আমি অকুতোভয়েচেটে নিই তেজস্ক্রিয় ধুলোজিভের ঝাড়নেযাতে করে টেবিলসব সময় ফিটফাট
কিছু একটা পুড়ছে
কিছু একটা পুড়ছেআড়ালে, বেরেতে, তোষকের তলায়, শ্মশানেকিছু একটা পুড়েছেইআমি ধোঁয়ার গন্ধ পাচ্ছিবিড়ি ধরিয়েছে কেউকেউ উবু হয়ে ফুঁ দিচ্ছে উনুনেকেউ চিতায়
আমাকে দেখা যাক বা না যাক
কে আমার হৃদ্পিণ্ডের ওপরে মাথা রেখে ঘুমোয়কে আমাকে দুধ ও ভাতের গন্ধ দিয়ে আড়াল করেকে আমার মাটি যেখানে আমি বৃষ্টির
আমার খবর
আমি সেই মানুষযার কাঁধের ওপর সূর্য ডুবে যাবে।বুকের বোতামগুলো নেই বহুরাতকলারটা তোলা ধুলো ফ্যা ফ্যা আস্তিনহাওয়াতে চুল উড়িয়েপকেট থেকে আধখানা
একটি অসাধারণ কবিতা
আমার ভালোবাসায় যে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলসেই মেয়েটি এখন আত্মহত্যা করছে।নীল ও বিন্দু বিন্দু আমার কপালে ঘামতার কাছে আমি গভীর সার্থকতা