জসীম উদ্দীন
এখন আমার
আমার এখন নিজের কাছে নিজের ছায়া খারাপ লাগে…রাত্রিবেলা ট্রেনের বাঁশি শুনতে আমার খারাপ লাগেজামার বোতাম আটকাতে কি লাগে, কষ্ট লাগেতুমি
ঘুমোবার আগে
কাছে আগুন ছিলো নাআমি চাঁদের আগুনেশাদা সিগ্রেট জ্বালিয়ে বসেছিলাম কুয়াশায়!-কে ওখানে? শীতরাতে পৌষ-পাখির গলা শোনা গেলো জ্যোত্স্নায়,-কে ওখানে? পাখির কন্ঠের
জ্যোস্নায় তুমি কথা বলছো না কেন
প্রতিটি নতুন কথা বলাটাই হলো আমাদের প্রেম,প্রতিটি নতুন শব্দই হলো শিল্পকলার সীমাঃহে অসীমা তুমি কথা বলছো না কেন? ওষ্ঠে কাঁপন
তোমার মৃত্যুর জন্য
তোমার চোখের মতো কয়েকটি চামচ পড়ে আছে দ্যাখো প্রশান্ত টেবিলেআমার হাতঘড়িনীল ডায়ালের তারা জ্বলছে মৃদু আমারই কব্জিতে!ট্যুরিস্টের মতো লাগছে দেখতে
এপিটাফ
যতদূরে থাকো ফের দেখা হবে। কেননা মানুষযদিও বিরহকামী, কিন্তু তার মিলনই মৌলিক।মিলে যায় – পৃথিবী আকাশ আলো একদিন মেলে! এ
বিচ্ছেদ
আগুনে লাফিয়ে পড়ো, বিষ খাও, মরোনা হলে নিজের কাছে ভুলে যাওএত কষ্ট সহ্য করো না। সে তোমার কতদূর? কী এমন?
নিঃসঙ্গতা
অতটুকু চায়নি বালিকা!অত শোভা, অত স্বাধীনতা!চেয়েছিল আরো কিছু কম, আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়েবসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিলমা বকুক, বাবা
ভালোবাসার কবিতা লিখবো না
‘তোমাকে ভালোবাসি তাই ভালোবাসার কবিতা লিখিনি।আমার ভালোবাসা ছাড়া আর কোনো কবিতা সফল হয়নি,আমার এক ফোঁটা হাহাকার থেকে এক লক্ষ কোটিভালোবাসার
পাখি হয়ে যায় প্রাণ
অবশেষে জেনেছি মানুষ একা!জেনেছি মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা!দৃশ্যের বিপরীত সে পারে না একাত্ম হতে এই পৃথিবীর
বয়ঃসন্ধি
চিকন কঞ্চির মতো ছিপছিপে রোদের ভিতরে আসিকে আমাকে নুইয়ে দেয় মা? আমার ভীষণ ভয় লাগে!পানাপুকুরের পাড়ে জলের আয়না আছে, মুখ
তোমার চিবুক ছোঁব, কালিমা ছোঁব না
এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়াতোমার ওখানে যাব, তোমার ভিতরে এক অসম্পূর্ণ যাতনা আছেন,তিনি যদি আমাকে বলেন,
আমি এখন যাবার জন্য তৈরি
আমি এখন যাবার জন্য তৈরিমৃত্যুর আগেআমার পিতা যেমনমুখ টিপে হেসেছিলেনআমি তেমন প্রশান্ত,একমাত্র বিদায় নে’য়া ছাড়াআমার কারুর সঙ্গেকোন সম্পর্ক নেই। এই