জসীম উদ্দীন
ইচ্ছে করে হই ইচ্ছে-ঘুড়ি
মনের মাঝে মাঝেমাঝেইতীব্রভাবে ইচ্ছে করেবনপাখিদের গান শোনাবপ্রবলভাবে ইচ্ছে করে স্বপ্নচরেহরেক রঙের ঘুড়ি উড়াবকখনো বা ভাবি আমি মন মাঝিঅকূল পাথারে নাও
জন্মস্মর
স্বপ্নের ভিতরে আমার জন্ম হয়েছিলসেই প্রথম আমি যখন আসিপথের পাশের জিগা-গাছের ডালে তখন চড়চড় করে উঠছিল রোদকচুর পাতার কোষের মধ্যে
ছোটোগল্প
ছোট্টো ভীষণ ছোট্টো লাগছে সব।কিচ্ছুতে আর আমার গায়েলাগছে না এই তুচ্ছ পোশাকআমার গায়ের হাফহাতা শার্ট,স্বপ্নভুক ছেঁড়া গেঞ্জিএ্যাশকালারের জ্যাকেট,ধূসর পাঞ্জাবি আরগহনবনের
বানভাসি
আমি বানভাসি লোক বঠি গনামটা হল মতি সদ্দারবাপকাকার আমল থাকে চৌকিদারি করিপঞ্চাশ সালের আকালের পরথাকে গেল বছর তকখরার চোটে দকড়কঁচা
মৃণালের পত্র
সেই ছুটুবেলাতে আমাদেরপাহাড় কোলের জোড়েলদী পেরাতে যাইয়েএক আষাঢ় মাসের হড়কা বানেআমি আর আমার ভাইভাস্যে গেছলম বানের তোড়েভাইটি গেল ডুবে আমি
রুখে দাঁড়া
মেয়েটি বললে, আমি বিষ খাব স্যার,আমার আর ইচ্ছে করছে না বাঁচতে।আমি শুধালাম, কি হয়েছে তোমারসাতসকালে এসব কি বলছ তুমি।মেয়েটি বললে,
দ্রোহ কথা
দিনটা ছিল ঈদের দিনখুশির ঈদের খুশির দিনতখন আমার কিশোরীবেলাতখন আমি তেরো কি চোদ্দ,আমার ছোট কাকার মেয়েসে আমার থেকে অনেক বড়দিল্লিতে
যিখানে মাটি লালে লাল
যিখানে মাটি লালে লাল কাঁকর লিয়ে গড়াগড়ি যায়একটোপ জলের লাগে মুনিষ কামীন হাঁ করেক্ষেতের আড়ে জিরায়ঝিঙাফুলা রোদের আঁচে গোরু বাছুর
সতী
“ও বাপুনও বাপুন রেআমি তোর মা রে বাপুনআমি তোর মাএকবার চল বাপতোর বাবার শেষ কাজ টুকুন করবি চল”কোনো সাড়া নেইকোনো
স্বাধীনতা
কথাটা ত মিছা লয়লালগড়ের জঙ্গলমহলের সবাই জানেডুমুরগড়্যা, বেণাচাপড়া, বাঁকিশোল,হাতিঘোসা,শালডাঙ্গামোহনপুর, কলাইমুড়ির জানে সবাইদিনের বেলা পুলিশরাতের বেলা উয়ারা,পুলিশ বলে স্বাধীনতাউয়ারা বলে মিছাকথাফের
দুর্গা
ও বিল্টু তুই এখন কোথায় আছিস বাবাতুই এখন আছিস কোথায়,হাসপাতালে তোর বাপ বলেছিল “ছেলে তো অন্য ঘরে”সেই ঘরটা কোথায় রে,আমি
শিকড়
কেঁদুলির মেলা পেরাই তখেন আমাদে রাঙামাটির দেশেফাগুনা হাওয়া বইছে,কচি পলাশের পারা রোদ উঠেছে ঝলমলা,সেই রোদ ধুলা পথে কানা বাউলের আখড়ায়