জসীম উদ্দীন
মংগলির কথা
এই কনটাকটর বাবু এক গেলাস জল হবেকপাথরখাদানে কাজ করছিলমবড় পিয়াস লাগেছে,আমার নাম মংগলি গো মংগলিআমাকে ইখানে সবাই চিনেওই যে তুমাদে
আদিত আমার মন ভালো নেই
তোমাদের শহরে শীত আসি আসি করছেচলছে শীত উৎসবের প্রস্তুতি,কিংবা আঁকছো সুখনিদ্রার স্বপ্নকথা।আজ আমার ভিষণ একা লাগছে, ভিষণ একাআমি ছুটি চাই
আমি থাকতে আসিনি
আমি এখানে থাকতে আসিনি,চলে যেতে এসেছি।আমি ভাণ্ডারী এক- দোকান পসারীযার যেমন মন চায় কিনে নিক-ডালা খুলে ধরেছি দানাপানি, নুন তেল
আবার বসব মুখোমুখি
আমাদের মাকে যেদিন আমরা ভাওয়ালের জঙ্গলেফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলাম,ডালে ডালে পাখিরা বেদনায় মূক হয়ে গিয়েছিল।অথচ আকাশ ভরে উঠছে আলোয় আলোয়পাখি
মানুষ জাগবে ফের
হে তরুণ হে যুবকহে শ্রমিক হে কৃষকমেনো না হতাশাআবার আসবে দিন সূর্যিত আলোরআবার আসবে দিন সমূহ উজ্জ্বলমানুষ জাগবে ফের, জাগবে
ভেলকি
চন্ডীচরণ দাস ছিলপড়তে পড়তে হাসছিলহাসতে হাসতে হাঁস হলহায় কী সর্বনাশ হল।নন্দগোপাল কর ছিলডুব দিয়ে মাছ ধরছিলধরতে ধরতে মাছ হলহায় কী
হরবোলা
সে সে অনেক দিনের কথালোকটা ছিল হরবোলাযে খেলা সে দেখিয়ে গেলকখনও কি যায় ভোলা !বলল, বাবু, দেখবে মজাডাকব আমি এমন
ময়নার মা ময়নামতী
ময়নার মা ময়নামতীময়না তোমার কই?ময়না গেছে কুটুমবাড়ীগাছের ডালে ওই।কুটুম কুটুম কুটুমনামটি তার ভুতুমআঁধার রাতের চৌকিদারদিনে বলে শুতুম।ময়না গেছে কুটুমবাড়ীআনতে গেছে
সংগতি
মেলাবেন তিনি ঝোড়ো হাওয়া আরপোড়ো বাড়িটারঐ ভাঙ্গা দরজাটা ।মেলাবেন । পাগল দাপটে দেবে না গায়েতে কাঁটা ।আকাশে আগুনে তৃষ্ণার মাঠ
বিনিময়
তার বদলে পেলেসমস্ত ঐ স্তব্ধ পুকুরনীল-বাঁধানো স্বচ্ছ মুকুরআলোয় ভরা জলফুলে নোয়ানো ছায়া-ডালটাবেগনি মেঘের ওড়া পালটাভরলো হৃদয়তলএকলা বুকে সবই মেলে। তার
রাত্রি
অতন্দ্রিলা,ঘুমোওনি জানিতাই চুপি চুপি গাঢ় রাত্রে শুয়েবলি, শোনো,সৌরতারা-ছাওয়া এই বিছানায়—সূক্ষ্মজাল রাত্রির মশারি—কত দীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন,আলাদা নিশ্বাসে—এতক্ষণে ছায়া-ছায়া পাশে ছুঁইকী
মধ্যরাত ছুঁতে আর সাত মাইল
মধ্যরাত ছুঁতে আর সাত মাইল . . .দুই ঠোঁট ছিঁড়ে নাও,চোখের কোটর থেকে নীলপদ্ম তুলে নাও,নিষিদ্ধ দেরাজ থেকে তুলে নাও