জসীম উদ্দীন

এখন মধ্যরাত

এখন মধ্যরাত।তখন দুপুরে রাজপথে ছিলো মানুষের পদপাত।মিছিলে মিছিলে টলমল ছিলো সারাদিন রাজধানী।এখন কেবল জননকূল ছল বুড়িগঙ্গার পানিশান্ত নীরব নিদ্রিত সব।ওই

বাকি অংশ »

একেই বুঝি মানুষ বলে

নষ্ট জলে পা ধুয়েছো এখন উপায় কি?আচ্ছাদিত বুকের বোঁটা চুমোয় কেটেছি।কথার কোলে ইচ্ছেগুলো বাৎসায়নের রতি,মানে এবং অন্য মানে দুটোই জেনেছি।নষ্ট

বাকি অংশ »

নান্দী

এসো, ছিনিয়ে নি আমার স্বাধীনতাকথা বলবার স্বাধীনতা,অক্ষরের ডান পাশে অক্ষর বসিয়েশব্দগুলো তৈরী করবার স্বাধীনতাজীবনের স্তোত্র রচনার স্বাধীনতাঅর্থবহ এবং যুক্তিরজ্যোতির্ময় উচ্চারণ

বাকি অংশ »

নিরালা

বর্তমানে মুক্তকচ্ছ, ভবিষ্যৎ হোঁচটে ভরা,মাঝে মাঝে মনে হয়,দুর্মুখ পৃথিবীকে পিছনে রেখেতোমাকে নিয়ে কোথাও স’রে পড়ি |নদীর উপরে যেখানে নীল আকাশ

বাকি অংশ »

মুক্তি

হিংস্র পশুর মতো অন্ধকার এলো—তখন পশ্চিমের জ্বলন্ত আকাশ রক্তকরবীর মতো লালসে-অন্ধকার মাটিতে আনলো কেতকীর গন্ধ,রাতের অলস স্বপ্নএঁকে দিল কারো চোখে,সে-অন্ধকার

বাকি অংশ »

বিস্মৃতি

ভুলে যাওয়া গন্ধের মতোকখনো তোমাকে মনে পড়ে |হাওয়ার ঝলকে কখনো আসে কৃষ্ণচূড়ার উদ্ধত আভাস |আর মেঘের কঠিন রেখায়আকাশের দীর্ঘশ্বাস লাগে

বাকি অংশ »

নিঃশব্দতার ছন্দ

স্তব্ধরাত্রে কেন তুমি বাইরে যাও?আকাশে চাঁদ নেই, আকাশ অন্ধকার,বিশাল অন্ধকারে শুধু একটি তারা কাঁপে,হাওয়ায় কাঁপে শুধু একটি তারা। কেন তুমি

বাকি অংশ »

নাগরিক

মহানগরীতে এল বিবর্ণ দিন, তারপর আলকাতরার মতো রাত্রিআর দিনসমস্ত দিন ভরে শুনি রোলারের শব্দ,দূরে, বহুদূরে কৃষ্ণচূড়ার লাল, চকিত ঝলক, হাওয়ায়

বাকি অংশ »

কপোতাক্ষ নদ

সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে।সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনেশোনে মায়া- মন্ত্রধ্বনি) তব কলকলেজুড়াই

বাকি অংশ »

মাতৃভাষা

নিজাগারে ছিল মোর অমূল্য রতনঅগণ্য ; তা সবে আমি অবহেলা করি,অর্থলোভে দেশে দেশে করিনু ভ্রমণ,বন্দরে বন্দরে যথা বাণিজ্যের তরী |কাটাইনু

বাকি অংশ »

অনেক দিনের চেনা

দাড়িয়ে দুরে অনেকদিনের চেনা।আজকাল যার সঙ্গে থাকো, সে না।একলা তুমি কফিশপের ভেতরঝগড়া করে পালিয়ে এলে। সে তা।দাঁড়িয়ে আছে উল্টো ফুটপাতেআগের

বাকি অংশ »
Scroll to Top