জসীম উদ্দীন
অকরুণ পিয়া
আমার পিয়াল বনের শ্যামল পিয়ার ওই বাজে গো বিদায়বাঁশি,পথ-ঘুরানো সুর হেনে সে আবার হাসে নিদয় হাসি।পথিক বলে পথের গেহবিলিয়েছিল একটু
আঁধারে
অমানিশায় আসে আঁধার তেপান্তরের মাঠে;স্তব্ধ ভয়ে পথিক ভাবে,– কেমনে রাত কাটে!ওই যে ডাকে হুতোম-পেঁচা, বাতাস করে শাঁ শাঁ!মেঘে ঢাকা অচিন
অভিযান
নতুন পথের যাত্রা-পথিকচালাও অভিযান !উচ্চ কণ্ঠে উচ্চার আজ“মানুষ মহীয়ান !”চারদিকে আজ ভীরুর মেলা ,খেলবি কে আর নতুন খেলা ?জোয়ার জলে
ভালোবাসার সংজ্ঞা
ভালোবাসা মানে দুজনের পাগলামি,পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা;ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া,বিরহ-বালুতে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি; ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতিখুব করে ঝুঁকে
দুঃখ/কষ্ট
পাখি উড়ে চ’লে গেলে পাখির পালক প’ড়ে থাকে ।পাখি উড়ে গেলে তার নরম পালককঠিন মাটিতে প’ড়ে থাকা ঠিক নয়—এই ভেবে
বুক পেতে শুয়ে আছি ঘাসের উপরে চক্রবালে
বুক পেতে শুয়ে আছি ঘাসের উপরে চক্রবালেতোমার ধানের মুখে ধরে আছি আর্ত দুই ঠোঁটতুমি চোখ বন্ধ করো, আমিও দুচোখ ঢেকে
পড়ালেখা করে যেই
লেখা পড়া করে যেই।গাড়ী ঘোড়া চড়ে সেই।।লেখা পড়া যেই জানে।সব লোক তারে মানে।।কটু ভাষী নাহি হবে।মিছা কথা নাহি কবে।।পর ধন
পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল
পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল।কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিল।।শীতল বাতাস বয় জুড়ায় শরীর।পাতায়-পাতায় পড়ে নিশির শিশির।।ফুটিল মালতী ফুল সৌরভ ছুটিল।পরিমল
আমার পণ
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি ,সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে ,আমি যেন সেই কাজ
সবিনয় নিবেদন
আমি তো আমার শপথ রেখেছিঅক্ষরে অক্ষরেযারা প্রতিবাদী তাদের জীবনদিয়েছি নরক করে।দাপিয়ে বেড়াবে আমাদের দলঅন্যে কবে না কথাবজ্র কঠিন রাজ্যশাসনেসেটাই স্বাভাবিকতা
এত বেশি কথা বলো কেন? চুপ করো
শব্দহীন হওশষ্পমূলে ঘিরে রাখো আদরের সম্পূর্ণ মর্মরলেখো আয়ু লেখো আয়ুভেঙে পড়ে ঝাউ, বালির উত্থান, ওড়ে ঝড়তোমার চোখের নিচে আমার চোখের
মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে
একলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি… তোমার জন্যে গলির কোণেভাবি আমার মুখ দেখাবমুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে। একটা দুটো সহজ কথা….বলব ভাবি চোখের