জসীম উদ্দীন
সাধারণ মেয়ে
আমি অন্তঃপুরের মেয়ে,চিনবে না আমাকে।তোমার শেষ গল্পের বইটি পড়েছি, শরৎবাবু,“বাসি ফুলের মালা’।তোমার নায়িকা এলোকেশীর মরণ-দশা ধরেছিলপঁয়ত্রিশ বছর বয়সে।পঁচিশ বছর বয়সের
বাঁশিওআলা
“ওগো বাঁশিওআলা,বাজাও তোমার বাঁশি,শুনি আমার নূতন নাম”— এই বলে তোমাকে প্রথম চিঠি লিখেছি,মনে আছে তো?আমি তোমার বাংলাদেশের মেয়ে।সৃষ্টিকর্তা পুরো সময়
একটি দিন
মনে পড়ছে সেই দুপুরবেলাটি। ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টিধারা ক্লান্ত হয়ে আসে, আবার দমকা হাওয়া তাকে মাতিয়ে তোলে।ঘরে অন্ধকার, কাজে মন যায়
হঠাৎ দেখা
রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন।আগে ওকে বারবার দেখেছিলালরঙের শাড়িতেদালিম ফুলের মতো রাঙা;আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়,আঁচল তুলেছে
আমি যে বেসেছি ভালো এই জগতেরে
আমি যে বেসেছি ভালো এই জগতেরে;পাকে পাকে ফেরে ফেরেআমার জীবন দিয়ে জড়ায়েছি এরে;প্রভাত-সন্ধ্যারআলো-অন্ধকারমোর চেতনায় গেছে ভেসে;অবশেষেএক হয়ে গেছে আজ আমার
দুই পাখি
খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতেবনের পাখি ছিল বনে।একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে,কী ছিল বিধাতার মনে।বনের পাখি বলে, খাঁচার পাখি
১৪০০ সাল
আজি হতে শতবর্ষ পরেকে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানিকৌতূহলভরে,আজি হতে শতবর্ষ পরে!আজি নব বসন্তের প্রভাতের আনন্দেরলেশমাত্র ভাগ,আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের
শেষ চিঠি
মনে হচ্ছে শূন্য বাড়িটা অপ্রসন্ন,অপরাধ হয়েছে আমারতাই আছে মুখ ফিরিয়ে।ঘরে ঘরে বেড়াই ঘুরে,আমার জায়গা নেই–হাঁপিয়ে বেরিয়ে চলে আসি।এ বাড়ি ভাড়া
আমার একটা আকাশ আছে
কাশ ভর্তি অনেক আকাশ, আকাশ বেশুমারআমার একটা আকাশ আছে রঙ জানো কি তার?গাঢ় সবুজ আকাশ আমার অনিন্দ্যসুন্দরআমার কোনো ঘর-বাড়ি নেই
পুঁটির স্ট্যাটাস
অতীতকালে থাকতো না মাছ, গরিব লোকের পাতে।বাঁচতো গরিব কাঁচালংকা-পেঁয়াজ-পান্তাভাতে।খুব বড়জোড় জুটতো সাথে জল টলোমল ডালতাতেই গরিব গাপুস গুপুস সাবড়ে দিতো
হিমশিম ও ঘোড়ার ডিম
শিম খেতে ভালো লাগেতবে হিমশিম না।মুরগির ডিম খাইহর্স-এর ডিম না!পৃথিবীতে কোথাও কিডিম পাড়ে ঘোড়া? –না।তাহলে ‘ঘোড়ার ডিম’যুক্তিটা খোঁড়া না?যেই ঘোড়া
শিক্ষক শ্রীচরণ
হাতে নিয়ে ডাস্টার আর শাদা চকক্লাশে এসে ঢুকতেন প্রিয় শিক্ষক।জটিল অংক আর তার সমাধানলিখতেন বোঝাতেন প্রতিটি বিধান।কালো ‘ব্ল্যাক বোর্ডের’ কুচকুচে