জসীম উদ্দীন

আমি কি মানুষ হতে পারি

আমার স্বদেশ নেইআমি হাওয়া হতে পারিআমি মেঘ হতে পারিআমি চাঁদ-সূর্য থেকে শুরু করেমানচিত্রহীন সব হতে পারিহতে পারি এক পাখিহাঁস অথবা

বাকি অংশ »

কেবল যাবার থাকে

কণ্ঠলগ্ন সাপ তুমি বেড়ে উঠো ধীরেবয়স বাড়ার মতো,লতায় পাতায় ঢাকো গেরুয়া জমিন জোড়া বৃক্ষের আকার—ঢাকো দিন, রাত-দিন একাকার করে দাও

বাকি অংশ »

আমি অপেক্ষা ক’রছি

আমি তাঁকে দেখার জন্য ১৯২০ সালে টুঙ্গিপাড়া গিয়েছিলামপ্রাণময় উজ্জ্বল দিনটি ছিলো মার্চ মাসের ১৭ তারিখমধুমতীর খুব তাড়া ছিলো ব’লে জোর

বাকি অংশ »

মাছরাঙা, কৃষ্ণচূড়া আর মঞ্জুমালা

তোমাকে ভালোবাসবো ব’লে মাছরাঙা ধ’রেরেখেছিলাম খাঁচায়, আশায় একটি কৃষ্ণচূড়া পুঁতেছিলাম টবেচুম্বনো ভরাবো ঠোঁট — ডানায় কী ডালেশক্তপোক্ত ঋতুবাস হবেমঞ্জুমালা তুমি

বাকি অংশ »

পথের বাঁকে 

: এই যে শুনছেন -: আমাকে বলছেন? : আপনি ছাড়া তো আর কাউকে দেখছি না এখানে। -: দেখা বিষয়টা আপেক্ষিক।

বাকি অংশ »

পথের বাঁকে – ২

ছেলেঃ এই যে শুনছেন?মেয়েঃ আপনি! কি সৌভাগ্য আমার। মেঘ না চাইতেই জল! আপনি তো বলেছিলেন, আপনাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য, পথের

বাকি অংশ »

দূরে উড়ে শঙ্খচিল

শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভিজে যায় প্রসন্ন বিকেলভিজে যায় বৃক্ষের বুক, অপরাজেয় বাংলারতিন মূর্তিমান প্রতীক, কলাভবনের শরীরতখন করিডোরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে…

বাকি অংশ »

মুকুট 

এখন পাকুড়গাছে সম্পূর্ণ নূতন পাতা, তার সঙ্গে বিবাহিত এইবটগাছে লাল লাল ফল ফলে আছে।চারিদিকে চিরকাল আকাশ থাকার কথা,আছে কিনা আমি

বাকি অংশ »

চাদেঁর গুহার দিকে 

চাদেঁর গুহার দিকে নির্নিমেষে চেয়ে থাকি, মেঝের উপরেদাড়িয়েঁ রয়েছে চাঁদ, প্রকাশ্য দিনের বেলা, স্পষ্ট দেখা যায়চাদেঁর গুহার দিকে নির্নিমেষে চেয়ে

বাকি অংশ »

চিল্কায় সকাল 

কী ভালো আমার লাগলো আজ এই সকালবেলায়কেমন করে বলি।কী নির্মল নীল এই আকাশ, কী অসহ্য সুন্দর,যেন গুণীর কণ্ঠের অবাধ উন্মুক্ত

বাকি অংশ »

নদী-স্বপ্ন 

কোথায় চলেছো? এদিকে এসো না! দুটোকথা শোন দিকিএই নাও- এই চকচকে ছোটো, নুতন রূপোর সিকিছোকানুর কাছে দুটো আনি আছে, তোমারে

বাকি অংশ »
Scroll to Top