জসীম উদ্দীন
যুগলসন্ধি
ছেলেটি খোঁড়েনি মাটিতে মধুর জল!মেয়েটি কখনো পরে নাই নাকছাবি।ছেলেটি তবুও গায় জীবনের গান,মেয়েটিকে দেখি একাকী আত্মহারা! ছেলেটির চোখে দুর্ভিক্ষের দাহ,মেয়েটির
তারপর
তারপর?তারপর শেষ হল চোদ্দ বছরের অজ্ঞাতবাস।সে আমাকে দেখে ডুকরে উঠল– তুমি এমন বিবর্ণ কেন?আমি তাকে দেখে চমকে উঠলাম– তুমি এমন
কাঁটা
তোমার পায়ে কাঁটা ফুটেছিল।টিটলাগড়ে আলপথে।তখন সন্ধ্যা ঝুঁকে পড়েছে।তুমি উ: বলতেই আমি বললাম, দাঁড়াও, নড়ো না।তোমার পায়ে আমি হাত দেবো, এ
বলো, বলো, বলো
তুমি আমার মনের কথা জেনে ফেলেছো ওই খানে তোমার জিৎ।আমি তোমার মনের কথা জানতে পারলাম কই?আপন অন্তরের অগাধ রহস্যের মধ্যে
যা চেয়েছি, যা পাবো
–কী চাও আমার কাছে?–কিছু তো চাইনি। আমি!–চাওনি তা ঠিক। তবু কেনএমন ঝড়ের মতো ডাক দাও?–জানি না। ওদিকে দ্যাখোরোদ্দুরে রুপোর মতো
জীবন-স্মৃতি
—তোমার ছিল স্বপ্ন দেখার অসুখ, তুমিআপন মনে কথা বলতে –তোমার ছিল বিষম দুঃখ,তুমি কখনোনদীর পারে একলা যাওনি —তোমার ছিল ছুরির
নির্ভয়
আমরা দুজনা স্বর্গ-খেলনা গড়িব না ধরণীতেমুগ্ধ ললিত অশ্রুগলিত গীতে॥পঞ্চশরের বেদনামাধুরী দিয়েবাসরররাত্রি রচিব না মোরা প্রিয়ে–ভাগ্যের পায়ে দুর্বল প্রাণে ভিক্ষা না
হে সময়, অশ্বারোহী হও
বিরক্ত নদীর মতো ভুরু কুঁচকে বসে আছে আমাদের কাল।যাচ্ছি যাব, যাচ্ছি যাব এই গড়িমসি করে চূড়ো ভাঙা চাকা ভাঙা রথযে
বুকের মধ্যে বাহান্নটা আলমারি
বুকের মধ্যে বাহান্নটা মেহগনি কাঠের আলমারি।আমার যা কিছু প্রিয় জিনিস, সব সেইখানে।সেই সব হাসি, যা আকাশময় সোনালী ডানার ওড়াওড়িসেই সব
সেই গল্পটা
আমার সেই গল্পটা এখনো শেষ হয়নি।শোনো।পাহাড়টা, আগেই বলেছিভালোবেসেছিল মেঘকেআর মেঘ কী ভাবে শুকনো খটখটে পাহাড়টাকেবানিয়ে তুলেছিল ছাব্বিশ বছরের ছোকরাসে তো
অনির্বচনীয়
নীল তারার আকাশে কত গান যে গায় পাখিকত যে পাখি সাগর-ছোঁয়া ডানায় রোদ ভরেএখানে আসে-আমার কাছে আমার উঠোনেইবধূর মতো কোমল
কথোপকথন – ১
-তোমার পৌঁছুতে এত দেরী হলো ?-পথে ভিড় ছিল ?-আমারও পৌঁছুতে একটু দেরী হলোসব পথই ফাটা ।-পথে এত ভিড় ছিল কেন