জসীম উদ্দীন
কিশোর
আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে,ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।লক্ষ আশা অন্তরেঘুমিয়ে আছে মন্তরেঘুমিয়ে আছে বুকের ভাষা পাঁপড়ি-পাতার
জীবন বিনিময়
বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁর-পুত তাহার হুমায়ুন বুঝি বাঁচে না এবার আর!চারিধারে তার শনায়ে আসিছে মরণ-অন্ধকার। রাজ্যের
বনভোজন
নুরু, পুশি, আয়েশা, শফি সবাই এসেছেআম বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে।রাঁধুনিদের শখের রাঁধার পড়ে গেছ ধুম,বোশেখ মাসের এই দুপুরে নাইকো
শিশুর পণ
এই করিনু পণমোরা এই করিনু পণফুলের মতো গড়ব মোরামোদের এই জীবন।হাসব মোরা সহজ সুখেগন্ধ রবে লুকিয়ে বুকেমোদের কাছে এলে সবারজুড়িয়ে
পারিব না
‘পারিব না’ একথাটি বলিও না আর,কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার।পাঁচজনে পারে যাহাতুমিও পারিবে তাহা,পার কি না পার কর যতন
মানুষ
গাহি সাম্যের গান-মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে
হরিপদ’র দিনরাত্রি
তরল হীরের নদী,সোনারঙ নৌকো দোলে দূরে-স্বেচ্ছায় লাফিয়ে পড়ে ঝাঁক-ঝাঁক রুপালি ইলিশ…সহসা স্বপ্নের ঘোরে হেসে ওঠে হরিপদ জেলে:দেখে সে গঞ্জের হাটে
কদম মাঝির স্বগতোক্তি
বিষ্টি শ্যাষ -অহনও হাওয়ার তোড়ে দানবের তেজয্যানো কোনো বেলেহাজ কামুক ইতরনারাজি ছেমড়ির মতনাওডারে ঠেইল্লা জলিধান খেতের ভিতর!যতই বৈডা মারি, দুই
কবি
আমার শৈশবে নাকি মাকে ডেকে বলেছিলো ময়াজ ফকির:সেরেক বিন্নির সাথে নবান্নের ক্ষীররেঁধে শিন্নি দিবি খুশিমনে বাবার দরগায়;সেখানে যে আধল্যাংটা পাগলাটা
ঠিক আছে
অসময়ে মেহমানঘরে ঢুকে বসে যানবোঝালাম ঝামেলারযতগুলো দিক আছেতিনি হেসে বললেনঠিক আছে ঠিক আছে । রেশনের পচা চালটলটলে বাসি ডালথালাটাও ভাঙা-চোরাবাটিটাও
শিশুদের হাসি
আকাশটা হেসে ওঠে শিশুদের হাসিমুখ দেখেসন্ধ্যার মেঘমালা সেই হাসি গায়ে নেয় মেখে।সকালের সোনা রোদ নেচে ওঠে, গেয়ে ওঠে পাখিশিশুর হাসিকে
অমলকান্তি
অমলকান্তি আমার বন্ধু,ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো,পড়া পারত না,শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলেএমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো