জসীম উদ্দীন

একুশের কবিতা

‘পাখী সব করে রব রাতি পোহাইলকাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল।’ কবেকার পাঠশালায় পড়া মন্ত্রের মতো সেই সুরসুর নয় স্মৃতির মধুভাণ্ডার-সেই

বাকি অংশ »

উত্তম ও অধম

কুকুর আসিয়া এমন কামড়দিল পথিকের পায়কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটেবিষ লেগে গেল তাই।ঘরে ফিরে এসে রাত্রে বেচারাবিষম ব্যথায় জাগে,মেয়েটি তাহার তারি

বাকি অংশ »

প্রশ্ন

মা গো, আমায় ছুটি দিতে বল্‌,সকাল থেকে পড়েছি যে মেলা।এখন আমি তোমার ঘরে বসেকরব শুধু পড়া-পড়া খেলা।তুমি বলছ দুপুর এখন

বাকি অংশ »

মা 

সময় হয়নি, তবু দূরের আকাশখানি ঢেকে গেল ঘন কালো মেঘে।বছর ঘুরতে না ঘুরতেইসবুজ পাতা হলুদ হয়ে খসে পড়তে লাগলো ঘাসে,অসংখ্য

বাকি অংশ »

বাঁচবো কি 

বাঁচবো কি? আর কী করে বাঁচবো?গাল ভরে হু হু কান্নার ঢেউ,বুকের মধ্যে ছারখার জ্বালাফুলে ফুলে ওঠে,গনগনে সীসে ঢালা ঝাঁঝাঁ কানে,বালবের

বাকি অংশ »

মা 

মা শুনলে ভেসে ওঠে সিঁদুরের টিপলাল পেড়ে শাড়ি, কোলে দুধের সন্তানযামিনী রায়ের ছবি, সে তো তুমি নও !কোথায় লুকিয়ে আছ

বাকি অংশ »

এক পৌরাণিক দেবীর গল্প

এক চন্দন-ঘষা রাতে ছোট্ট পুতুলের মতোএই পৃথিবীতে বেড়াতে এলেন মা।শেকলের গোলাকার দোলনাগুলিহাওয়ার হাতে একটু মজার দোল দিতে দিতেতিনি চলেছেন, চলেছেন,

বাকি অংশ »

মা-ও যেন কবিতা লেখেন 

পাঁচপ্রদীপের শিখার ওপর হাত পাতায় নিয়ে সামান্য ওমটুকুতোদের মাথায় ছোঁয়াই খোকাখুকু কিন্তু কখন কেউ জানে না কবেএ হাতখানি পঞ্চপ্রদীপ হবে

বাকি অংশ »

জন্মবৃত্তান্ত 

মা-কে নিয়ে আমার খুব গর্ব ছিলআমার জন্মের সময় আমি তো জন্মাইনি –সুতরাং, জন্মদাত্রী ব’লে নয়। আসলেমা খুব গুছিয়ে বলতে পারতজন্মের

বাকি অংশ »

একটি সবুজ তারা 

মা আছেন আকাশে নক্ষত্রের মেলায়কেউ জানে না, আমি জানি কোন তারাটিআমার মা,ঐ তারার আলোতে আমি পথ চলিঅন্ধকারে, ঝলমলে, দিনের ধন্দে

বাকি অংশ »

মা-র কাছে ফেরা 

ওখানে ভীষণ খরায় ফসলের চরাচরে পাখা মেলে বোসেছে একবন্ধ্যার বাজপাখি, তার ঠোঁটের বিষ আমার রক্তের শহরে ঢুকেছেশত্রুসেনারা যেমন বিজয়গর্বে ঢোকে

বাকি অংশ »
Scroll to Top