জসীম উদ্দীন
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
সারারাত নূর হোসেনের চোখে এক ফোঁটা ঘুমওশিশিরের মতো জমেনি, বরং তার শিরায় শিরায়জ্বলেছে আতশবাজি সারারাত, কী একভীষণ বিস্ফোরণ সারারাত জাগিয়ে
প্রথম অতিথি
এরকম বাংলাদেশ কখনো দেখনি তুমি,মূহুর্তে সবুজ ঘাস পুড়ে যায়,ত্রাসের আগুন লেগে লাল হয়ে জ্বলে উঠে চাঁদ।নরম নদীর চর হা-করা কবর
এক সেকেন্ডে মাত্র চার ফুট
মানুষেরা নাকি এক সেকেন্ডে চার ফুট হাঁটতে পারে সাধারণত বারো কোটি মানুষ আমরাআমরা সবাই একসঙ্গে হাঁটলে মোট আটচল্লিশ কোটি ফুটঅর্থাৎ
বারবারা বিডলারকে
বারবারাভিয়েতনামের উপর তোমার অনুভূতির তরজমা আমি পড়েছি-তোমার হৃদয়ের সুবাতাসআমার গিলে-করা পাঞ্জাবিকে মিছিলে নামিয়েছিলপ্রাচ্যের নির্যাতিত মানুষগুলোরজন্যে অসীম দরদ ছিল সে লেখায়আমি
শহীদ স্মরণে
কবিতায় আর কি লিখব?যখন বুকের রক্তে লিখেছিএকটি নামবাংলাদেশ। গানে আর ভিন্ন কি সুরের ব্যঞ্জনা?যখন হানাদারবধ সংগীতেঘৃণার প্রবল মন্ত্রে জাগ্রতস্বদেশের তরুণ
বাংলা ছাড়ো
রক্তচোখের আগুন মেখে ঝলসে-যাওয়াআমার বছরগুলোআজকে যখন হাতের মুঠোয়কণ্ঠনালীর খুন পিয়াসী ছুরি,কাজ কি তবে আগলে রেখে বুকের কাছেকেউটে সাপের ঝাঁপি !আমার
সার্চ
‘হল্ট’ বলে হুঙ্কার ছেড়েই যম সামনে খাড়া।লোমশ কর্কশ হাত ঢুকে গেলো প্যান্টের পকেটেকিছু পয়সা দুটি ফুল সুতোর বান্ডিল অতঃপরভারী হাতে
বাঙলা ভাষা
শেকলে বাঁধা শ্যামল রূপসী, তুমি-আমি, দুর্বিনীত দাসদাসী-একই শেকলে বাঁধা প’ড়ে আছি শতাব্দীর পর শতাব্দী।আমাদের ঘিরে শাঁইশাঁই চাবুকের শব্দ, স্তরে স্তরে
একুশের কবিতা
সভ্যতার মণিবন্ধে সময়ের ঘড়িশিশুর জন্ম থেকে জরাদেহ ক্ষীণশ্বাস মানবের অবলুপ্তির সীমারেখায়বলে গেল সেই কথা। সেই কথা বলে গেল অনর্গল– তপ্তশ্বাস
৩২ নম্বর মেঘের ওপারে
আকাশের ওপারে আকাশ,তার ওপরে মেঘ,মেঘের মধ্যে বাড়ি—৩২ নম্বর মেঘমহল।৩২ নম্বরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আপনি।আপনার গায়ে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি,চোখে কালো মোটা ফ্রেমের
আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি
সমবেত সকলের মতো আমিও গোলাপ ফুল খুব ভালোবাসি,রেসকোর্স পার হয়ে যেতে সেইসব গোলাপের একটি গোলাপ গতকালআমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায়
বঙ্গ-বন্ধু
মুজিবর রহমান।ওই নাম যেন বিসুভিয়াসের অগ্নি-উগারী বান।বঙ্গদেশের এ প্রান্ত হতে সকল প্রান্ত ছেয়ে,জ্বালায় জ্বলিছে মহা-কালানল ঝঞঝা-অশনি বেয়ে ।বিগত দিনের যত