জসীম উদ্দীন
বসন্তে
উত্সব গান, মধুময় তানআকাশ ধরণী-তলেকুঞ্জে কুঞ্জে বিহগ কণ্ঠেলতায় পাতায় ফুলে |হৃদয়ে সবার দিয়েছে রে দোলনাচিয়া উঠিছে প্রাণ,(এ যে) নূতন দেশের
বন্দনা
বিশ্ব আঁধার ভেদিয়া করে বন্দনানবীন রক্ত তপন মহান আলোকে |গরজি গভীর স্বননে ধায় পারাবারচুমিতে চরণতল অতুল পুলকে!বনে উপবনে ফোটে কত
উদ্বোধন
বঙ্গের ছেলে-মেয়ে জাগো, জাগো, জাগো,পরের করুণা কেন শুধু মাগো—আপনারে বলে নির্ভর রাখোহবে জয় নিশ্চয়—চারিদিকে হেরো কী দুঃখ-দুর্দিন,কত ভাই বোন অন্ন-বস্ত্র-হীন,সোনার
মনুষ্যত্ব
একদিন লিখেছিনু আদর্শ যে হবে“কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে” |আজ লিখিতেছি বড় দুঃখ লয়ে প্রাণেতোমরা মানুষ হবে কাহার
আদর্শ ছেলে
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবেকথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?মুখে হাসি, বুকে বল তেজে ভরা মন“মানুষ হইতে
কানা বগীর ছা
ঐ দেখা যায় তাল গাছঐ আমাদের গাঁ।ঐ খানেতে বাস করেকানা বগীর ছা।ও বগী তুই খাস কি?পানতা ভাত চাস কি?পানতা আমি
মা
মা কথাটি ছোট্ট অতিকিন্তু জেনো ভাই,ইহার চেয়ে নাম যে মধুরতিন ভুবনে নাই।সত্য ন্যায়ের ধর্ম থাকুকমাথার ‘পরে আজি,অন্তরে মা থাকুন মমঝরুক
ওস্তাদের কদর
কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলবী দিল্লীর।একদা প্রভাতে গিয়াদেখেন বাদশাহ,শাহজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়াঢালিতেছে বারি গুরুর চরণেপুলকিত হৃদে আনত নয়নে –শিক্ষক
বঙ্গবাণী
কিতাব পড়িতে যার নাহিক অভ্যাস।সে সবে কহিল মোতে মনে হাবিলাষ।।তে কাজে নিবেদি বাংলা করিয়া রচন।নিজ পরিশ্রম তোষি আমি সর্বজন।।আরবি ফারসি
মানুষ কে?
নিয়ত মানসধামে একরূপ ভাব।জগতের সুখ-দুখে সুখ দুখ লাভ।।পরপীড়া পরিহার, পূর্ণ পরিতোষ।সদানন্দে পরিপূর্ণ স্বভাবের কোষ।।নাহি চায় আপনার পরিবার সুখ।রাজ্যের কুশলকার্যে সদা
মাতৃভাষা
মায়ের কোলেতে শুয়ে ঊরুতে মস্তক থুয়েখল খল সহাস্য বদন।অধরে অমৃত ক্ষরে আধ আধ মৃদু স্বরেআধ আধ বচনরচন।।কহিতে অন্তরে আশা মুখে
তপসে মাছ
কষিত-কনককান্তি কমনীয় কায়।গালভরা গোঁফ-দাড়ি তপস্বীর প্রায়॥মানুষের দৃশ্য নও বাস কর নীরে।মোহন মণির প্রভা ননীর শরীরে॥পাখি নও কিন্তু ধর মনোহর পাখা।সমধুর