জসীম উদ্দীন
আমার মৃত্যুর পরেও যদি
একটি পাখী রোজ আমার জানালায়আস্তে এসে বসে, তাকায় আশেপাশে।কখনো দেয় শিস, বাড়ায় গলা তার;আবার কখনোবা পাখাটা ঝাপটায়। পালকে তার আঁকা
কখনো আমার মাকে
সংসারে এসেও মা আমার সারাক্ষণছিলেন নিশ্চুপ বড়ো, বড়ো বেশি নেপথ্যচারিণী। যতদূরজানা আছে, টপ্পা কি খেয়াল তাঁকে করেনি দখলকোনোদিন। মাছ কোটা
উত্তর
তুমি হে সুন্দরীতমা নীলিমার দিকে তাকিয়ে বলতেই পারো‘এই আকাশ আমার’কিন্তু নীল আকাশ কোনো উত্তর দেবেনা। সন্ধ্যেবেলা ক্যামেলিয়া হাতে নিয়ে বলতেই
পূর্বরাগ
জেনেছি কাকে চাই, কে এলে চোখে ফোটেনিমেষে শরতের খুশির জ্যোতিকণা;কাঁপি না ভয়ে আর দ্বিধার নেই দোলাএবার তবে রাতে হাজার দীপ
কোনো একজনের জন্য
এতকাল ছিলাম একা আর ব্যথিত,আহত পশুর অনুভবে ছেঁড়াখোঁড়া।দুর্গন্ধ-ভরা গুহাহিত রাত নিস্ফল ক্রোধে দীর্ণ,শীর্ণ হাহাকার ছাড়া গান ছিল না মনে,জানি প্রাণে
একটি ফটোগ্রাফ
‘এই যে আসুন, তারপর কী খবর?আছেন তো ভাল? ছেলেমেয়ে?’ কিছু আলাপের পরদেখিয়ে সফেদ দেয়ালের শান্ত ফটোগ্রাফটিকেবললাম জিজ্ঞাসু অতিথিকে–‘এই যে আমার
পন্ডশ্রম
এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে,চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।কানের খোঁজে ছুটছি মাঠে, কাটছি সাঁতার বিলে,আকাশ
চাহিবে না ফিরে
পথে দেখে ঘৃণাভরেকত কেহ গেল সরেউপহাস করি’ কেহ যায় পায়ে ঠেলে ;কেহ বা নিকটে আসি,বরষি সান্ত্বনারাশিব্যথিতেরে ব্যথা দিয়ে যায় শেষে
এরা যদি জানে
এদেরও তো গড়েছেন নিজে ভগবান্ ,নবরূপে দিয়েছেন চেতনা ও প্রাণ ;সুখে দুঃখে হাঁসে কাঁদে স্নেহে প্রেমে গৃহ বাঁধেবিধে শল্যসম হৃদে
স্মৃতিচিহ্ন
ওরা ভেবেছিল মনে আপনার নামমনোহর হর্ম্মরূপে বিশাল অক্ষরেইষ্টক প্রস্তরে রচি চিরদিন তরেরেখে যাবে ! মূঢ় ওরা, ব্যর্থ মনস্কাম।প্রস্তর খসিয়াছে ভূমে
কত ভালবাসি
জড়ায়ে মায়ের গলা শিশু কহে আসি,-‘মা, তোমারে কত ভালবাসি!’‘কত ভালবাস ধন?’ জননী সুধায়।‘এ-তো-‘ বলি দুই হাত প্রসারি দেখায়। ‘তুমি মা
প্রণয়ে ব্যথা
কেন যন্ত্রণার কথা, কেন নিরাশা ব্যথা,জড়িত রহিল ভবে ভালবাসা সাথে?কেন এত হাহাকার, এত ঝরে অশ্রু ধার?কেন কণ্টকের কূপ প্রণয়ের পথে?