জসীম উদ্দীন
একুশের কবিতা
আজ আমি কোথাও যাবনা। আমি কিছু করবো না,আজসূর্যের পিয়ন এসে দরজায় যতো খুশী কড়া নেড়ে যাক,স্নান ঘরেঅবিরল ঝরুক শাওয়ার, ভেসে
মাতৃভাষা
আমি জানিনা দুঃখের কী মাতৃভাষাভালোবাসার কী মাতৃভাষাবেদনার কী মাতৃভাষাযুদ্ধের কী মাতৃভাষা।আমি জানিনা নদীর কী মাতৃভাষানগ্নতার কী মাতৃভাষাএকটা নিবিড় বৃক্ষ কোন
নানান দেশে নানান ভাষা
নানান্ দেশে নানান্ ভাসা (ভাষা) বিনে স্বদেশীয় ভাসে পূরে কি আশা ? কত নদী সরোবর, কি বা ফল চাতকীর |
একুশের কবিতা
আশ্চর্য এমন দিন। মৃত্যুতে করে না কেহ শোক,মৃত্যুরে করে না ভয়, শঙ্কাহীন, কিসের আলোকউদ্ভাসিত ক’রে তোলে ক্লান্ত দেহ, মুখ, পদক্ষেপসংকল্পের
মাতৃভূমির জন্য
আমার বয়স তখন কতোই বা! চার কিংবা পাঁচ।অথচ আমার স্মৃতিকে আজও অন্ধকার করে দেয়সেই সময়ের এক রাশ কালো ধোঁয়াকুণ্ডলী পাকিয়ে
বায়ান্নের গুলিবিদ্ধ চেতনার মতো
সবুজ শাড়িতে ফের এতো রক্ত কেন?এই অপুষ্টির দেশে এতো রক্ত, তাজা, টকটকে লাল,এতো রক্ত অকস্মাৎ এল কোথা থেকে?এতো রক্ত কার?
সীমারেখা
পোশাকেও ঢেকে থাকে রাত্রীর নিবিড় কালো ঢেউ,তারই মধ্যে ভেসে থাকে অনুজ্জ্বল নক্ষত্রের তিল।অতখানি দূর থেকে গেঁথে যায় চোখের মণিতে।সেইখান থেকে
সীমালঙ্ঘন
আদর-প্রসঙ্গে আমি ইচ্ছে করে সীমারেখা লঙ্ঘন করেছিযাতে তুমি ক্রোধান্বিত রক্তজবা হয়ে যেতে পারোহঠাৎ নীরব হয়ে যাতে দূরে সরে যেতে পারো।
যেহেতু তুমিই বলেছিলে
যদিও-বা ক্লিওপেট্রা দেখা দিয়েছিল একবার,উদ্ভাসিত ছিল তার সবই;তবুও আঁকিনি আমি নাগলিঙ্গমের কোনো ছবি।আমি তো বলেছি শুধু নাগেশ্বর কুসুমের কথা;সাক্ষী আছে
এই হেমন্তে
হয়তোবা ইউক্যালিপটাসবংশে আমার জন্ম হয়েছিল গত শতাব্দীতে।প্রচুর কান্নার জল ক্রমাগত সঞ্চয় করেছি,তবু আমি কাঁদতে পারি না। আমি স্থির বিষণ্ণতা—এতটা আমি
আগুন আগুন
তোমাকে দেখবো বলে একবার কী কাণ্ডটাইনা করেছিলাম‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার করেসমস্ত পাড়াটাকে চমকে দিয়েতোলপাড় করেসুখের গেরস্তালিতে ডুবে-যাওয়া লোকজনদেরবড়শি-গাঁথা মাছের মতোবাইরে
ছুঁয়ে দেখা এবং হীরক সন্ধান
১দু’হাত জুড়ে দৈব-অভিশাপ,যেখানেই ছোঁয়া লাগে কালো দাগ পড়ে।বহুজন্মকাল আগে একবার আমিএকাকিনী জিরাফকে একটু করে ছুঁয়ে দেখেছিলাম গোপনে। আমার দু’হাতে শুধু