শ্রীজাত
অনেক দিনের চেনা
দাড়িয়ে দুরে অনেকদিনের চেনা।আজকাল যার সঙ্গে থাকো, সে না।একলা তুমি কফিশপের ভেতরঝগড়া করে পালিয়ে এলে। সে তা।দাঁড়িয়ে আছে উল্টো ফুটপাতেআগের
প্রিয় চড়াই
জাপটে ধরে বলব, ‘আমায় চাই?বৃষ্টি তখন উল্টো ডাঙার মোড়েনরম গালে মাখিয়ে দেবো ছাই।জানিস না তুই, পাখিরা রাতে ওড়ে?ডানার ভাঁজে মুখ
ইলশে গুঁড়ি
মেঘের নিচে লাইন পাতা। ট্রেন চলে না।সকাল থেকেই দিচ্ছে হাওয়া ইচ্ছে বুড়িহাত বাড়িয়ে বর্ষাকালের মিছরি কেনা…মনখারাপের সাক্ষী কেবল ইলশেগুঁড়ি।জানলা খোলা,
বৃষ্টি বিকেল
বিকেল বেলার ভাঙা ঘুমে পরএক কাপ চা, ধোঁয়ায় ঢাকা ঘর,দুপুরে খুব বৃষ্টি হয়ে ঝিমদূরে যত বাড়ি টিম টিমকেমন একটা ভিজে
ডাক
ভাষা আমার শরীর। যেমন আকাশ মাটি জলও –তারও আছে শিকড়, তুমি ফুলের কথাই বলো। ‘অ’ বললে তাই অহং বুঝি, ‘আ’
একদিন
একদিন যেই আমি বাসে চেপে দূরে যাবকালো আকাশের নীচে বুঝি কোনও চা-দোকানেকথা হবে মানুষের। দু’জন থাকিবে চুপ।দেহাতি ধরণ। কে যাবে
বৃষ্টি বলুক
সমুদ্রে কেউ যাচ্ছে না আজ, সতর্ক রেডিওতুমি কেবল ঝড়ের মুখে চুল সরিয়ে দিও। জানলা খোলা, এ মরসুমে পর্দারা উদ্ধত-ঠান্ডা হাওয়ায়
বিশু পাগলের কবিতা
বিপদ আবার ডাক দিয়েছে, দমকা বাতাস… আলগা বোতাম…বসন্তকে সাক্ষী রেখে আজ যদি ফের সঙ্গী হতাম? একখানা দিন ওলোট পালট, একখানা
অন্ধকারের গান
এই যুদ্ধের দিনগুলো পেরিয়ে যেতেতুমি বন্ধুর মতো কিছু সাহস দিওওই সঞ্চয় ফলে আছে সময়ক্ষেতেসেই শস্যের রং আজও অতুলনীয় কিছু সাহস
যায়
আকাশ যখন গর্জায়আগল দেওয়া দরজায়,বিজলি যখন মোড়ল সাজেতিনটে মেঘের তরজায়, যখন হাওয়ার সর যায়,বাগান ছেড়ে জ্বর যায়বউ-কপালে সন্ধে নামেওষুধ দিতে
এবার শ্রাবণে
এবার শ্রাবণে ভাবনার অপচয়পুরনো সন্ধে ভাঙিয়ে নিয়েছি জলেকত কারখানা এমনি বন্ধ হয়…আমার বাড়িতে সুমনের গান চলে।আকাশ বোঝে না কত ধানে
সাবধানে যেও
শেষ দেখা পানপাত্র হাতে।বলেছিলে, ‘সাবধানে যেও’।শীত ছিল। আলখাল্লা গান…তোমার তো সুরই পরিধেয়। শেষ আড্ডা সারিগান নিয়ে।তুমি কথা বলছিলে মাটির –তোমারই