হাবীবুল্লাহ সিরাজী
বালিকা ও আমি
বালিকা ফুল ভালোবাসে। আমি ভালোবাসি প্রজাপতি, পাখার রঙিন ঢেউ, সোনালি রেণু- বালিকা চঞ্চল হয়, হাওয়ায়-হাওয়ায় ওড়ে পাহাড়ে, সবুজ ঘাসের নিচে
ভালো আছি
ভিড়ের মধ্যে নিজেকে মৃত দেখলামএক লাশ, যে আমাকে বলতে বলল:ভালো আছিবয়সের তুলনায় বড়বেশি ভালো আছিরফা করছি খাদ্য ও পানীয়ের সঙ্গে,নির্বাসন
আমি কি মানুষ হতে পারি
আমার স্বদেশ নেইআমি হাওয়া হতে পারিআমি মেঘ হতে পারিআমি চাঁদ-সূর্য থেকে শুরু করেমানচিত্রহীন সব হতে পারিহতে পারি এক পাখিহাঁস অথবা
কেবল যাবার থাকে
কণ্ঠলগ্ন সাপ তুমি বেড়ে উঠো ধীরেবয়স বাড়ার মতো,লতায় পাতায় ঢাকো গেরুয়া জমিন জোড়া বৃক্ষের আকার—ঢাকো দিন, রাত-দিন একাকার করে দাও
আমি অপেক্ষা ক’রছি
আমি তাঁকে দেখার জন্য ১৯২০ সালে টুঙ্গিপাড়া গিয়েছিলামপ্রাণময় উজ্জ্বল দিনটি ছিলো মার্চ মাসের ১৭ তারিখমধুমতীর খুব তাড়া ছিলো ব’লে জোর
মাছরাঙা, কৃষ্ণচূড়া আর মঞ্জুমালা
তোমাকে ভালোবাসবো ব’লে মাছরাঙা ধ’রেরেখেছিলাম খাঁচায়, আশায় একটি কৃষ্ণচূড়া পুঁতেছিলাম টবেচুম্বনো ভরাবো ঠোঁট — ডানায় কী ডালেশক্তপোক্ত ঋতুবাস হবেমঞ্জুমালা তুমি
তোমার মা
তাঁর ছায়া তাঁরই মতো থাকেউঠোন, বাগান, শান বাঁধানো ঘাটেসন্ধ্যা যখন নামেহাতের মুঠোয় কমলালেবু, কমলালেবুর ঘ্রাণেদীর্ঘ চুলে গন্ধ-বাতাস খেলেআমার তখন কী-ই
একুশ
ছিটকে পড়ে শিমুল-জবাছিটকে পড়ে খেলাছিটকে পড়ে ভাটিয়ালিনদীর ছেলেবেলা–ছিটকে পড়ে মদনমোহনছিটকে পড়ে খুলিছিটকে পড়ে নামতা-ভূগোলছুড়ল যখন গুলিভিজল বাতাস ডুবল আকাশবাংলা ভাষার