হেলাল হাফিজ
ডাকাত
তুমি কে হ?সোনালী ছনের বাড়ি তছনছ করে রাতেনির্বিচারে ঢুকে গেলে অন্দর-মহলেবেগানা পুরুষ, লাজ-শরমের মাথা খেয়েতুমি কে হে? তোমাকে তো কখনো
যাতায়াত
কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো।কেন আমার দিন কাটেনা রাত কাটে নারাত কাটে তো ভোর দেখি নাকেন আমার হাতের
নাম ভূমিকায়
তাকানোর মতো করে তাকালেই চিনবে আমাকে।আমি মানুষের ব্যকরণজীবনের পুষ্পিত বিজ্ঞানআমি সভ্যতার শুভ্রতার মৌল উপাদান,আমাকে চিনতেই হবেতাকালেই চিনবে আমাকে। আমাকে না
রাখাল
আমি কোনো পোষা পাখি নাকি?যেমন শেখাবে বুলিসেভাবেই ঠোঁট নেড়ে যাবো, অথবা প্রত্যহমনোরঞ্জনের গান ব্যাকুল আগ্রহে গেয়েঅনুগত ভঙ্গিমায় অনুকূলে খেলাবো আকাশ,আমি
ভূমিহীন কৃষকের গান
দুই ইঞ্চি জায়গা হবে?বহুদিন চাষাবাদ করিনা সুখের। মাত্র ইঞ্চি দুই জমি চাইএর বেশী কখনো চাবো না,যুক্তিসঙ্গত এই জৈবনিক দাবি খুব
মানবানল
আগুন আর কতোটুকু পোড়ে ?সীমাবদ্ধ ক্ষয় তার সীমিত বিনাশ,মানুষের মতো আর অতো নয় আগুনের সোনালি সন্ত্রাস। আগুন পোড়ালে তবু কিছু
বেদনা বোনের মত
একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখলামশুধু আমাকেই দেখা যায়,আলোর প্রতিফলন প্রতিসরণের নিয়ম না জানা আমিসেই থেকে আর কোনদিন আয়না দেখি না।
পরানের পাখি
পরানের পাখি তুমি একবার সেই কথা কও,আমার সূর্যের কথা, কাঙ্খিত দিনের কথা,সুশোভন স্বপ্নের কথাটা বলো,–শুনুক মানুষ। পরানের পাখি তুমি একবার
নিখুঁত স্ট্র্যাটেজী
পতন দিয়েই আমি পতন ফেরাবো বলেমনে পড়ে একদিন জীবনের সবুজ সকালেনদীর উলটো জলে সাঁতার দিয়েছিলাম। পতন দিয়েই আমি পতন ফেরাবো
প্রতিমা
প্রেমের প্রতিমা তুমি, প্রণয়ের তীর্থ আমার।বেদনার করুণ কৈশোর থেকে তোমাকে সাজাবো বলেভেঙেছি নিজেকে কী যে তুমুল উল্লাসে অবিরামতুমি তার কিছু
তুমি ডাক দিলে
একবার ডাক দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাঙাল,কতো হুলুস্থূল অনটন আজম্ন ভেতরে আমার। তুমি ডাক দিলেনষ্ঠ কষ্ঠ সব নিমিষেই ঝেড়ে মুছেশব্দের
আমার সকল আয়োজন
আমার শৈশব বলে কিছু নেইআমার কৈশোর বলে কিছু নেই,আছে শুধু বিষাদের গহীন বিস্তার।দুঃখ তো আমার হাত–হাতের আঙুন–আঙুলের নখদুঃখের নিখুঁত চিত্র