অন্যান্য কবিতা
আমি ভীষণ একলা মানুষ
আমি ভীষণ একলা মানুষ,আমি ভীষণ আমার ভেতর থাকি।যত্ন করে খুব খেয়ালে রোজ,‘আমি’টাকে আমার ভেতর রাখি আমি ভীষণ অভিমানের মেঘ,আমি ভীষণ ক্লান্ত
কেউ নেই
আমি ভাবতাম পথ হাঁটলেই পথ ফুরোবেকাঁটা ডিঙালেই শিশিরভেজা আস্ত গোলাপ।আমি ভাবতাম রাত পোহালেই সকাল হবে রোজ,
অস্তমিত কালের গৌরব
বিশ শতকের এই গোধূলিবেলায় হঠাৎ কেমনএলোমেলো ধূলিঝড়কেমন উদ্ভট উল্টোপাল্টা হাওয়া,যেন ঝরে যায় সব মানবিক মূল্যবোধ, ইতিহাসেরস্বর্ণাক্ষরে লেখা একেকটি পাতা।এ কী
ইচ্ছা
হয়তো এই পাহাড় সমান উঁচু হতে চায় কেউআমি মাটিতে মেশা ঘাস হতে ভালোবাসি,যার মাড়িয়ে যাওয়ার সে মাড়িয়ে যাক ঘাসতবু ঘাসের
গভরমেন্টের টাকা
আম উঠেছে, জাম উঠেছে, কাঁঠাল পাকা-পাকা,কিন্তু কিছুই কেনা যাচ্ছে না, পকেটে নেই টাকা।‘কোথায় পাবো টাকা? কোথায় গেছে টাকা?’ ধমক দিয়ে
আবার একটা ফুঁ দিয়ে দাও
আবার একটা ফুঁ দিয়ে দাও,মাথার চুল মেঘের মতো উড়ুক ।আবার একটা ফুঁ দিয়ে দাও,স্বপ্নগুলো ছায়ার মতো ঘুরুক । আবার একটা
পূর্ণিমার মধ্যে মৃত্যু
একদি চাঁদ উঠবে না, সকাল দুপুরগুলোমৃতচিহ্নে স্থির হয়ে রবে;একদিন অন্ধকার সারা বেলা প্রিয় বন্ধু হবে,একদিন সারাদিন সূর্য উঠবে না। একদি
স্ববিরোধী
আমি জন্মেছিলাম এক বিষণ্ন বর্ষায়,কিন্তু আমার প্রিয় ঋতু বসন্ত । আমি জন্মেছিলাম এক আষাঢ় সকালে,কিন্তু ভালোবাসি চৈত্রের বিকেল । আমি
কোনো কোনো যুবক যুবতী
একালের কোনো কোনো যুবক বা যুবতীর মুখেসেকালের মোমমাখা ঝাড়লন্ঠন স্তম্ভ ও গম্বুজ দেখা যায়।দেখে হিংসা জাগে। মানুষ এখন যেন কোনো
আরশিতে সর্বদা এক উজ্জল রমনী
আরশিতে সর্বদা এক উজ্জল রমণী বসে থাকে।তার কোনো পরিচয়, পাসপোর্ট, বাড়ির ঠিকানামানুষ পায়নি হাত পেতে। অনুসন্ধানের লোভে মুলত সর্বতোভাবে তাকে
কুষ্ঠরোগীর কবিতা
আমার এ কুষ্ঠরোগসারানো কি কলকাতা শহরের কাজযার হাইড্রেণ্টে জল নেই।তাই আমি অকুতোভয়েচেটে নিই তেজস্ক্রিয় ধুলোজিভের ঝাড়নেযাতে করে টেবিলসব সময় ফিটফাট
আমাকে দেখা যাক বা না যাক
কে আমার হৃদ্পিণ্ডের ওপরে মাথা রেখে ঘুমোয়কে আমাকে দুধ ও ভাতের গন্ধ দিয়ে আড়াল করেকে আমার মাটি যেখানে আমি বৃষ্টির