অন্যান্য কবিতা
তোমার দিকে আসছি
অজস্র জন্ম ধরেআমি তোমার দিকে আসছিকিন্তু পৌঁছুতে পারছি না।তোমার দিকে আসতে আসতেআমার এক একটা দীর্ঘ জীবন ক্ষয় হয়ে যায়পাঁচ পঁয়সার
আমার কুঁড়েঘরে
আমার কুঁড়েঘরে নেমেছে শীতকালতুষার জ’মে আছে ঘরের মেঝে জুড়ে বরফ প’ড়ে আছেগভীর ঘন হয়ে পাশের নদী ভ’রেবরফ ঠেলে আর তুষার
চোখের জল
মানুষের চোখ থেহে গড়িয়ে পড়া চোখের জলভালো লাগে না আমারসবচেয়ে বড় অপচয়ের নাম চোখের জলঅসহ্য, সরিয়ে নাও তোমার চোখ, আমি
আমি একটুখানি দাঁড়াব
আমি একটুখানি দাঁড়াব এবং দাঁড়িয়ে চলে যাব;শুধু একটু থেমেই আমি আবার এগিয়ে যাব;না, আমি থেকে যেতে আসিনি;এ আমার গন্তব্য নয়;আমি
কিছু শব্দ উড়ে যায়
কিছু শব্দ উড়ে যায়, কিছু শব্দ ডানা মুড়ে থাকে,তরল পারার মতো কিছু শব্দ গলে পড়ে যায়।এমন সে কোন শব্দ নক্ষত্রের
নাগরিক
মহানগরীতে এল বিবর্ণ দিন, তারপর আলকাতরার মতো রাত্রিআর দিনসমস্ত দিন ভরে শুনি রোলারের শব্দ,দূরে, বহুদূরে কৃষ্ণচূড়ার লাল, চকিত ঝলক, হাওয়ায়
বৃষ্টি বিকেল
বিকেল বেলার ভাঙা ঘুমে পরএক কাপ চা, ধোঁয়ায় ঢাকা ঘর,দুপুরে খুব বৃষ্টি হয়ে ঝিমদূরে যত বাড়ি টিম টিমকেমন একটা ভিজে
এবার শ্রাবণে
এবার শ্রাবণে ভাবনার অপচয়পুরনো সন্ধে ভাঙিয়ে নিয়েছি জলেকত কারখানা এমনি বন্ধ হয়…আমার বাড়িতে সুমনের গান চলে।আকাশ বোঝে না কত ধানে
ঈশ্বর
তোমাকে ঈশ্বর মেনে আমার হয়েছে যত জ্বালা।যক্ষ হয়ে ঘুরে মরছি একই মহল্লায় সারারাতজেগেছে সরাইখানা, দূরে দূরে ম্লান পান্থশালা…প্রতিটি অক্ষর আজও
যাও, পত্রদূত
যাও পত্রদূত, বোলো তার কানে-কানে মৃদু স্বরেসলজ্জ ভাষায় এই বার্তা: “কোমল পাথর, তুমিসুর্যাস্তের লাল আভা জড়িয়ে রয়েছো বরতনু;প্রকৃতি জানে না
ফুলবাজার
পদ্ম, তোর মনে পড়ে খালযমুনার এপার ওপাররহস্যনীল গাছের বিষাদ কোথায় নিয়ে গিয়েছিল? স্পষ্ট নৌকো, ছৈ ছিল না, ভাঙা বৈঠা গ্রাম
বাবরের প্রার্থনা
এই তো জানু পেতে বসেছি, পশ্চিমআজ বসন্তের শূন্য হাত—ধ্বংস করে দাও আমাকে যদি চাওআমার সন্ততি স্বপ্নে থাক। কোথায় গেল ওর