বেপরোয়া মনে ভরা প্লাবনের শুধু ছারখার ঢেউ,
কিন্তু রাধার যন্ত্রণা বোঝে? কৃষ্ণ নামের কেউ?
কৃষ্ণ এখন আঘাটা পেরিয়ে জনপ্রতিনিধি হবে,
শেষরাতে ভীরু চাঁদের সঙ্গে রাধা ঝরে গেল তবে?
ভাত ছড়ালেই কাক জুটে যায় চেনা পৈতের দেশে,
তিন পয়সার পালায় ক্যামেরা হাই তোলে অবশেষে।
আমার রাধা তো নিশি আভা মেখে, শ্বশুরের ঘর ছেড়ে,
দুধের বাচ্চা সামলে আবার বিদ্যাসাগরে ফেরে।
মথুরার রাধা বাসস্টপে একা দুরুদুরু উড়ু হিয়া,
দাঁত দেখাচ্ছে লুঠেরা জামানা- পরকীয়া পরকীয়া…
ঘরে বাইরের বিমলা জেনেছে, শ্যাম নিলো নাকছাবি,
নীল আকাশের নীচেই হারালো ঘরে ফেরবার চাবি।
আমার রাধা তো কণ্ঠী-বদলেআজও আজও বিশ্বাসী,
ব্যাঙ্কেও কোনো আ্যকাউন্ট নেই, এমন সব্বনাশী!
দুটো মেয়ে আছে,ওমা খেতে দাও–অবোধ কন্যাভ্রুণ,
ঘুরে দাঁড়ালেই দুমুঠোর পাশে আর জুটবেনা নুন।
রাধা জানতো না, ষোলোআনা মানে, শুধু বেলপাতা ফুল,
আঁচল ওড়ানো ঝড় হতে চাও? খুলে দিতে হবে দুল।
তবু হৃদয়ের ওঠা ও নামায় কী প্রবল দাপাদাপি!
বাঁশির বিরহ বাসি হয়ে গেলে,শোনো রাধা, তুমি পাপী!
না বলা বাণীতে,ঘন-যামিনীতে কতো না কন্ঠ সাধা,
বৃন্দাবনের সতী-পার্বনে শুধু ধরা পড়ে রাধা?
মেয়েটির তাতে কিছু আসে যায়?বলো অনুভব, বলো?
চিত্রাঙ্গদা গান্ডীব নিলে কৃষ্ণ কি টলোমলো?
রাধা তো আবার হাল ভাঙা খেয়া আঠারো আনার শেষে,
যুগে যুগে তারা মরে,শুধু মরে,ভালোবেসে ভালোবেসে।
ওগো ছারখার, তুমি ছারখার, শুধু ছারখার ঢেউ,
দ্রুপদকন্যা, তোমাকে বুঝেছে? অর্জুন নামে কেউ?