আবুল হাসান
চামেলী হাতে নিম্নমানের মানুষ
আসলে আমার বাবা ছিলেন নিম্নমানের মানুষনইলে সরকারী লোক, পুলিশ বিভাগে চাকরী কোরেওপুলিশী মেজাজ কেন ছিলনা ওনার বলুন চলায় ও বলায়?চেয়ার
জন্ম মৃত্যু জীবনযাপন
মৃত্যু আমাকে নেবে, জাতিসংঘ আমাকে নেবেনা,আমি তাই নিরপেক্ষ মানুষের কাছে, কবিদের সুধী সমাবেশেআমার মৃত্যুর আগে বোলে যেতে চাই,সুধীবৃন্দ ক্ষান্ত হোন,
আবুল হাসান
সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে,উজ্জ্বলতা ধরে আর্দ্র,মায়াবী করুণএটা সেই পাথরের নাম নাকি? এটা তাই?এটা কি পাথর নাকি কোনো
একসময় ইচ্ছে জাগে, এভাবেই
একসময় ইচ্ছে জাগে, মেষপালকের বেশে ঘুরিফিরি;অরণ্যের অন্ধকার আদিম সর্দার সেজে মহুয়ার মাটির বোতলভেঙ্গে উপজাতি রমণীর বল্কল বসন খুলে জ্যোৎস্নায় হাঁটু
এখন আমার
আমার এখন নিজের কাছে নিজের ছায়া খারাপ লাগে…রাত্রিবেলা ট্রেনের বাঁশি শুনতে আমার খারাপ লাগেজামার বোতাম আটকাতে কি লাগে, কষ্ট লাগেতুমি
ঘুমোবার আগে
কাছে আগুন ছিলো নাআমি চাঁদের আগুনেশাদা সিগ্রেট জ্বালিয়ে বসেছিলাম কুয়াশায়!-কে ওখানে? শীতরাতে পৌষ-পাখির গলা শোনা গেলো জ্যোত্স্নায়,-কে ওখানে? পাখির কন্ঠের
জ্যোস্নায় তুমি কথা বলছো না কেন
প্রতিটি নতুন কথা বলাটাই হলো আমাদের প্রেম,প্রতিটি নতুন শব্দই হলো শিল্পকলার সীমাঃহে অসীমা তুমি কথা বলছো না কেন? ওষ্ঠে কাঁপন
তোমার মৃত্যুর জন্য
তোমার চোখের মতো কয়েকটি চামচ পড়ে আছে দ্যাখো প্রশান্ত টেবিলেআমার হাতঘড়িনীল ডায়ালের তারা জ্বলছে মৃদু আমারই কব্জিতে!ট্যুরিস্টের মতো লাগছে দেখতে
এপিটাফ
যতদূরে থাকো ফের দেখা হবে। কেননা মানুষযদিও বিরহকামী, কিন্তু তার মিলনই মৌলিক।মিলে যায় – পৃথিবী আকাশ আলো একদিন মেলে! এ
বিচ্ছেদ
আগুনে লাফিয়ে পড়ো, বিষ খাও, মরোনা হলে নিজের কাছে ভুলে যাওএত কষ্ট সহ্য করো না। সে তোমার কতদূর? কী এমন?
নিঃসঙ্গতা
অতটুকু চায়নি বালিকা!অত শোভা, অত স্বাধীনতা!চেয়েছিল আরো কিছু কম, আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়েবসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিলমা বকুক, বাবা
ভালোবাসার কবিতা লিখবো না
‘তোমাকে ভালোবাসি তাই ভালোবাসার কবিতা লিখিনি।আমার ভালোবাসা ছাড়া আর কোনো কবিতা সফল হয়নি,আমার এক ফোঁটা হাহাকার থেকে এক লক্ষ কোটিভালোবাসার