এই যে তুমি বই লিখেছো ইতিহাসের,পাঁচশ পাতার।
বই লিখেছো মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার,গল্প-গাঁথার।
কোনো পাতায় নেই লেখা নামটা আমার সে বইটাতে,
প্রাণ দিয়েছি পাকিস্তানি খান সেনাদের ঘৃণ্য হাতে।
নেই তো আমার আত্মত্যাগের রক্তদানের উপাখ্যানটা,
কী মমতায় লিখলে তুমি স্বাধীনতার অমর গানটা!
সেই গানেও নেইতো কোথাও একটুখানি আমার কথা!
আর কতোকাল চলবে তোমার এমন নিঠুর নিরবতা!!
একাত্তরের শহিদ আমি অবহেলার পাত্র নইতো!
আমার রক্ত যদি তোমার চেতনাতে একটু বইতো–
আমার দুঃখ বুঝতে তুমি ঘটতো তোমার উপলব্ধি।
পৌঁছে যেতে একেক করে শহিদ তিরিশ লক্ষ অব্দি…
কিন্তু তুমি সেইটা চাওনি কোনোদিনই তোমার লক্ষ্য–
নাম না বলে শুধুই একটা সংখ্যা বলা ‘তিরিশ লক্ষ’!
এই বাংলার ধুলি কণায় আমার রক্ত- ঘামও ছিলো…
আমি কোনো সংখ্যা তো নই আমার একটা নামও ছিলো……!
নিষিদ্ধ জার্নাল থেকে
ভোরের আলো এসে পড়েছে ধ্বংসস্তূপের ওপর।রেস্তোরাঁ থেকে যে ছেলেটা রোজপ্রাতরাশ সাজিয়ে দিত আমার টেবিলেরাস্তার মোড়ে তাকে দেখলাম শুয়ে আছে রক্তাপুত