আগুন, বিদ্রোহ করি, সুতীক্ষ্ণ হাতিয়ারে শত্রুকে ছাটাই,
মরচে-পড়া খোস্তা আর কোদাল কান্তে দুর্গমে শানাই
আসুন, জনতা আজ বাঁধভাঙ্গা রক্তের তুলছে জোয়ার,
ক্রমশ সামনে বন্ধু, এখন সময় নেই পশ্চাতে ফেরার।
শঙ্কাহীন এ জনতা, শোক নয় এ মূহূর্তে, এখন লড়াই,
অগ্নিগিরি হই চলো বাঙলার জনপদে আমরা সবাই,
এখন দূর্বার হোক ঘরে ঘরে বিক্ষোভ আর রক্তাক্ত চেতনা, জনতার বিদ্রোহে সাবধানে কেউ আজ বিভ্রান্তি এনো না।
এ লড়াই কিষাণের, এ লড়াই মজুরের, ক্রান্তিকারী জনতার গড়া, ক্রমাগত এ লড়াইয়ে কিষাণের ভিত ভেঙ্গে হবে অগ্নিক্ষরা,
তাই তো প্রমত্ত ঝড় হু হু করে ছুটে আসে-মুখে মুখে তার
প্রোজ্জ্বল রক্তিম ঝাণ্ডা গ্রামে গ্রামে বিপ্লবে এনেছে জোয়ার।
তাই আজ হে স্বদেশ, হে জনতা, হাতিয়ার ধরো,
শত্রুর শিবিরে আজ জোট বেধে প্রত্যেকেই পদাঘাত করো, ‘শাস্তির ললিতবাণী’ ছুঁড়ে ফ্যালো যন্ত্রণার আস্তাকুঁড়ে আজ, আমরা এখানে চাই দুরন্ত রক্তিম প্রিয় মজুরের রাজ।
রক্তে-ভেজা শার্ট দেখে নাকি কান্না কবিতার চাই না বোধন, নাকের বদলে আর জনতার দাবী নয় শখের নরুন
আসুন বিদ্রোহ করি, আপসের আয়োজন ব্যর্থ হয়ে যাক,
বিধ্বস্ত বাঙলার বুকে সাবধান আর নয় আপোসের ডাক।