একুশের কবিতা

আশ্চর্য এমন দিন। মৃত্যুতে করে না কেহ শোক,
মৃত্যুরে করে না ভয়, শঙ্কাহীন, কিসের আলোক
উদ্ভাসিত ক’রে তোলে ক্লান্ত দেহ, মুখ, পদক্ষেপ
সংকল্পের দ্যুতি তরে দৃঢ়তার প্রচার প্রলেপ
করেছে ভাস্বর।

এরা যেন করেছে স্বাক্ষর
মৃত্যুর পরওয়ানা প’রে বাংলা ভাষার লিখি নাম :
‘আমার মায়েরে আমি মাটি থেকে বুকে মোর তুলিয়া নিলাম’
সালাম বরকত ছিলো, আরও ছিলো নাম নাহি জানা কতোজন
পিতার অন্তিম আশা, জননীর বুক-জোড়া ধন,
কাহারও জীবন সাথী, বোনদের একমাত্র ভাই
তারা আজ নাই।
নাই? — আছে, আছে …
আকাশে বাতাসে আর হিয়ার একান্ত কাছে-কাছে।
তাই তো মিছিল চলে দৃঢ় দৃপ্ত পদে, কণ্ঠভরা
মৃত্যুর অমর গান, তাই দুটি তীব্র অগ্নিক্ষরা।
মাতা-বধূ-ভগ্নিদের সব মুখ সংকল্প-কঠিন
এমন আশ্চর্য এই দিন।
অমর একুশে
অজেয় হয়েছে বাংলা ভাষা রক্তে মিশে।

শেয়ার করুনঃ

প্রাসঙ্গিক

একুশে ফেব্রুয়ারি

একুশ আমার বোনের দুঃখমায়ের চোখের জল। একুশ আমার ভায়ের রক্তচির-সমুজ্জ্বল। একুশ আমার পিতার আক্রোশপুত্রের তাজা খুন। একুশ আমার অস্তিত্বের রথবাংলাদেশের

বাকি অংশ »

এই অক্ষরে

এই অক্ষর যেন নির্ঝরছুটে চলা অবিরামযেন কিছু তারা দিচ্ছে পাহারাআকাশেতে লিখে নাম।অক্ষরগুলি চায় মুখ তুলিঅন্তরে জাগে গান,শিখি তার কাছে অজানাযা

বাকি অংশ »

ফেব্রুয়ারির গান

দোয়েল কোয়েল ময়না কোকিলসবার আছে গানপাখির গানে পাখির সুরেমুগ্ধ সবার প্রাণ। সাগর নদীর ঊর্মিমালারমন ভোলানো সুরনদী হচ্ছে স্রোতস্বিনীসাগর সমুদ্দুর। ছড়ায়

বাকি অংশ »

সাম্প্রতিক সংযোজন

বনভূমির ছায়া

কথা ছিল তিনদিন বাদেই আমরা পিকনিকে যাব,বনভূমির ভিতরে আরও গভীর নির্জন বনে আগুন ধরাব,আমাদের সব শীত ঢেকে দেবে সূর্যাস্তের বড়

বাকি অংশ »

খিড়কি

খিড়কি ছিল পাশের বাড়িরখিড়কি ছিল মনেরখিড়কি ছিল যখন তখনখিড়কি কিছুক্ষণের । খিড়কি ছিল পথের পাশেহলুদ গাঁদাফুলের,খিড়কি ছিল আকাশ ভরামেঘের কালোচুলের

বাকি অংশ »
Scroll to Top