একুশের কবিতা
বাংলাটা ঠিক আসে না
ছেলে আমার খুব ‘সিরিয়াস’, কথায়-কথায় হাসে নাজানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।ইংলিশে ও ‘রাইমস’ বলে‘ডিবেট’ করে, পড়াও চলেআমার
একুশের কবিতা
আজ আমি কোথাও যাবনা। আমি কিছু করবো না,আজসূর্যের পিয়ন এসে দরজায় যতো খুশী কড়া নেড়ে যাক,স্নান ঘরেঅবিরল ঝরুক শাওয়ার, ভেসে
মাতৃভাষা
আমি জানিনা দুঃখের কী মাতৃভাষাভালোবাসার কী মাতৃভাষাবেদনার কী মাতৃভাষাযুদ্ধের কী মাতৃভাষা।আমি জানিনা নদীর কী মাতৃভাষানগ্নতার কী মাতৃভাষাএকটা নিবিড় বৃক্ষ কোন
নানান দেশে নানান ভাষা
নানান্ দেশে নানান্ ভাসা (ভাষা) বিনে স্বদেশীয় ভাসে পূরে কি আশা ? কত নদী সরোবর, কি বা ফল চাতকীর |
একুশের কবিতা
আশ্চর্য এমন দিন। মৃত্যুতে করে না কেহ শোক,মৃত্যুরে করে না ভয়, শঙ্কাহীন, কিসের আলোকউদ্ভাসিত ক’রে তোলে ক্লান্ত দেহ, মুখ, পদক্ষেপসংকল্পের
মাতৃভূমির জন্য
আমার বয়স তখন কতোই বা! চার কিংবা পাঁচ।অথচ আমার স্মৃতিকে আজও অন্ধকার করে দেয়সেই সময়ের এক রাশ কালো ধোঁয়াকুণ্ডলী পাকিয়ে
বায়ান্নের গুলিবিদ্ধ চেতনার মতো
সবুজ শাড়িতে ফের এতো রক্ত কেন?এই অপুষ্টির দেশে এতো রক্ত, তাজা, টকটকে লাল,এতো রক্ত অকস্মাৎ এল কোথা থেকে?এতো রক্ত কার?
হাজার বছরের বিজয়
আমি হাজার বছরের স্পন্দিত বিজয় দেখেছিগাঙ্গের বদ্বীপের পলোল মাটির লাল-সবুজেবিজয় এসেছে রক্তের ফিনকিতে ভেজা পথেযে পথে হেঁটেছি আমরা এবং আমাদের
একুশে
ভাষা বাঁচে নুন হলুদে, ভাষা বাঁচে নদীর বাঁকেমেয়েরাই আঁচল দিয়ে ভাষাটাকে বাঁচিয়ে রাখে। মেয়েরাই মাতৃভাষা , আমরা তো ফেব্রুয়ারিমেয়েরাই শীতলপাটি,
ভাষার গভীরে ভাষা
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া নীল এই মখমল রাতেচাঁদের সোনালি থালা, রাশি রাশি নক্ষত্রের ফুল;মনে হয় মানুষ এমন রাত দেখেছে বোগদাদে।অথচ কী
মাতৃভাষা
নিজাগারে ছিল মোর অমূল্য রতনঅগণ্য ; তা সবে আমি অবহেলা করি,অর্থলোভে দেশে দেশে করিনু ভ্রমণ,বন্দরে বন্দরে যথা বাণিজ্যের তরী |কাটাইনু
ডাক
ভাষা আমার শরীর। যেমন আকাশ মাটি জলও –তারও আছে শিকড়, তুমি ফুলের কথাই বলো। ‘অ’ বললে তাই অহং বুঝি, ‘আ’