ওরা আমার মুখের কথা
কাইড়া নিতে চায় ।
ওরা কথায় কথায় শিকল পরায়
আমার হাতে-পায় ।।
কইতো যাহা আমার দাদায়
কইছে তাহা আমার বাবায়
এখন, কও দেখি ভাই মোর মুখে কি
অন্য কথা শোভা পায় ।।
সইমু না আর সইমু না
অন্য কথা কইমু না
যায় যদি ভাই দিমু সাধের জান।।
এই জানের বদল রাখুম রে ভাই
বাব-দাদার জবানের মান ।।
যে শুইনাছে আমার দেশের
গাঁওগেরামের গান
নানান রঙয়ের নানান রসে,
ভইরাছে তার প্রাণ ।
টপ-কীর্তন, ভাসান-জারি,
গাজীর গীত আর কবির সারি
আমার এই, বাংলাদেশের বয়াতিরা
নাইচা নাইচা কেমন গায়।।
তারই তালে তালে হৈ
ঢোল করতাল বাজে ঐ
বাঁশি কাসি খঞ্জনি সানাই।
কও দেখি ভাই এমন শোভা
কোথায় গেলে দেখতে পাই।।
পূবাল বায়ে বাদাম দিয়া
লাগলে ভাটির টান
গায়রে আমার দেশের মাঝি
ভাটিয়ালি গান ।
তার ভাটিয়াল গানের সুরে
মনের দুস্কু যায়রে দূরে
বাজায় বাঁশি সেই না সুরে
রাখাল বনের ছায় ।।