একুশের ছড়া/কবিতা
একুশে ফেব্রুয়ারি
একুশ আমার বোনের দুঃখমায়ের চোখের জল। একুশ আমার ভায়ের রক্তচির-সমুজ্জ্বল। একুশ আমার পিতার আক্রোশপুত্রের তাজা খুন। একুশ আমার অস্তিত্বের রথবাংলাদেশের
এই অক্ষরে
এই অক্ষর যেন নির্ঝরছুটে চলা অবিরামযেন কিছু তারা দিচ্ছে পাহারাআকাশেতে লিখে নাম।অক্ষরগুলি চায় মুখ তুলিঅন্তরে জাগে গান,শিখি তার কাছে অজানাযা
ফেব্রুয়ারির গান
দোয়েল কোয়েল ময়না কোকিলসবার আছে গানপাখির গানে পাখির সুরেমুগ্ধ সবার প্রাণ। সাগর নদীর ঊর্মিমালারমন ভোলানো সুরনদী হচ্ছে স্রোতস্বিনীসাগর সমুদ্দুর। ছড়ায়
বাংলা ভাষার বাংলাদেশ
বাহান্ন তে গর্জে উঠেছাত্র মজুর চাষাজিন্নাহ জখন এলান দিলোউর্দু হবে ভাষা তাগড়া তরুণ যুবক তখনবোতাম খোলা বুকেপ্রতিবাদে মুখর হয়েএলান দিলো রুখে কাঁদানে
কোন এক মাকে
“কুমড়ো ফুলে ফুলেনুয়ে পড়েছে লতাটা,সজনে ডাঁটায়ভরে গেছে গাছটা,আর, আমি ডালের বড়িশুকিয়ে রেখেছি—খোকা তুই কবে আসবি!কবে ছুটি?” চিঠিটা তার পকেটে ছিল,
ফাগুন এলেই
ফাগুন এলেই একটি পাখি ডাকেথেকে থেকেই ডাকেতাকে তোমরা কোকিল বলবে? বলো।আমি যে তার নাম রেখেছি আশানাম দিয়েছি ভাষা,কতো নামেই ‘তাকে’
একুশের গান
ওরা আমার মুখের কথাকাইড়া নিতে চায় ।ওরা কথায় কথায় শিকল পরায়আমার হাতে-পায় ।। কইতো যাহা আমার দাদায়কইছে তাহা আমার বাবায়এখন,
একুশের গান
একুশ মানেই আসছেসালাম ফিরে আসছে, বরকত ফিরে আসছেতাজুল ফিরে আসছে….একুশ মানেই মুক্তিযুদ্ধ ফিরে আসছেসেই সাহসে বুক-পেতে-দেয়া তারুণ্য ফিরে আসছেতারুণ্যের চোখে
একুশের কবিতা
ভিতরমহলে খুব চুনকাম, কৃষ্ণচূড়াএই তো ফোটার আয়োজনবাড়িঘর কী রকম যেন তাকে হলুদ অভ্যাসবশে চিনি,হাওয়া একে তোলপাড় করে বলে, একুশের ঋতু!ধীরে
স্মৃতিস্তম্ভ
স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু,আমরা এখনোচারকোটি পরিবারখাড়া রয়েছি তো । যে-ভিৎ কখনো কোনো রাজন্যপারেনি ভাঙতেহীরের মুকুট নীল পরোয়ানা
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারিআমি কি ভুলিতে পারিছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু ঝরা এ ফেব্রুয়ারিআমি কি ভুলিতে পারিআমার সোনার দেশের
কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি
এখনো যারা প্রাণ দিয়েছেরমনার ঊর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার তলায়যেখানে আগুনের ফুলকির মতোএখানে ওখানে জ্বলছে অসংখ্য রক্তের ছাপসেখানে আমি কাঁদতে আসিনি।আজ আমি শোকে