একুশের ছড়া/কবিতা
বাংলা ভাষা
মোদের গরব, মোদের আশা,আ-মরি বাংলা ভাষা!তোমার কোলে,তোমার বোলে,কতই শান্তি ভালোবাসা! কি যাদু বাংলা গানে!গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে,গেয়ে গান নাচে
যতদূর বাংলা ভাষা
যতদূর বাংলা ভাষা, ততদূর এই বাংলাদেশ।দরিয়ানগরে জন্ম, পৃথিবীর সর্ব প্রান্ত আমার স্বদেশ।। এ বাংলার হাটে মাঠে, ধানীরং কিষাণীর বাটে,দিগন্তের মেঠোপথে,
আমাকে কী মাল্য দেবে, দাও
তোমার পায়ের নিচে আমিও অমর হব,আমাকে কী মাল্য দেবে, দাও। এই নাও আমার যৌতুক, এক-বুক রক্তের প্রতিজ্ঞা।ধুয়েছি অস্থির আত্মা শ্রাবণের
বাংলাটা ঠিক আসে না
ছেলে আমার খুব ‘সিরিয়াস’, কথায়-কথায় হাসে নাজানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।ইংলিশে ও ‘রাইমস’ বলে‘ডিবেট’ করে, পড়াও চলেআমার
একুশের কবিতা
আজ আমি কোথাও যাবনা। আমি কিছু করবো না,আজসূর্যের পিয়ন এসে দরজায় যতো খুশী কড়া নেড়ে যাক,স্নান ঘরেঅবিরল ঝরুক শাওয়ার, ভেসে
মাতৃভাষা
আমি জানিনা দুঃখের কী মাতৃভাষাভালোবাসার কী মাতৃভাষাবেদনার কী মাতৃভাষাযুদ্ধের কী মাতৃভাষা।আমি জানিনা নদীর কী মাতৃভাষানগ্নতার কী মাতৃভাষাএকটা নিবিড় বৃক্ষ কোন
নানান দেশে নানান ভাষা
নানান্ দেশে নানান্ ভাসা (ভাষা) বিনে স্বদেশীয় ভাসে পূরে কি আশা ? কত নদী সরোবর, কি বা ফল চাতকীর |
একুশের কবিতা
আশ্চর্য এমন দিন। মৃত্যুতে করে না কেহ শোক,মৃত্যুরে করে না ভয়, শঙ্কাহীন, কিসের আলোকউদ্ভাসিত ক’রে তোলে ক্লান্ত দেহ, মুখ, পদক্ষেপসংকল্পের
বায়ান্নের গুলিবিদ্ধ চেতনার মতো
সবুজ শাড়িতে ফের এতো রক্ত কেন?এই অপুষ্টির দেশে এতো রক্ত, তাজা, টকটকে লাল,এতো রক্ত অকস্মাৎ এল কোথা থেকে?এতো রক্ত কার?
একুশ আগুন রঙের পাখি
একুশ কি মা ?একুশ ?একুশ একটা পাখির জন্মদিন ।পাখি !ওর কি নাম ? কি রঙ ?ওর নাম বাংলা ভাষা ।আর
একুশে
ভাষা বাঁচে নুন হলুদে, ভাষা বাঁচে নদীর বাঁকেমেয়েরাই আঁচল দিয়ে ভাষাটাকে বাঁচিয়ে রাখে। মেয়েরাই মাতৃভাষা , আমরা তো ফেব্রুয়ারিমেয়েরাই শীতলপাটি,
ডাক
ভাষা আমার শরীর। যেমন আকাশ মাটি জলও –তারও আছে শিকড়, তুমি ফুলের কথাই বলো। ‘অ’ বললে তাই অহং বুঝি, ‘আ’