একুশের ছড়া/কবিতা
মিছিল
যে যাবে না সে থাকুক, চলো, আমরা এগিয়ে যাই।যে-সত্য জেনেছি পুড়ে, রক্ত দিয়ে যে-মন্ত্র শিখেছি,আজ সেই মন্ত্রের সপক্ষে নেবো দীপ্র
একুশের কবিতা
‘পাখী সব করে রব রাতি পোহাইলকাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল।’ কবেকার পাঠশালায় পড়া মন্ত্রের মতো সেই সুরসুর নয় স্মৃতির মধুভাণ্ডার-সেই
একুশ
ছিটকে পড়ে শিমুল-জবাছিটকে পড়ে খেলাছিটকে পড়ে ভাটিয়ালিনদীর ছেলেবেলা–ছিটকে পড়ে মদনমোহনছিটকে পড়ে খুলিছিটকে পড়ে নামতা-ভূগোলছুড়ল যখন গুলিভিজল বাতাস ডুবল আকাশবাংলা ভাষার
একুশ তুমি
একুশ তুমি কৃষ্ণচূড়ারক্ত পলাশ ফুল,একুশ তুমি মিষ্টি বোনেররঙিন দুটি দুল। একুশ তুমি রক্তে লেখাজাতির ইতিহাস,একুশ তুমি বাংলাদেশেরশ্যামল সবুজ ঘাস। একুশ
আগুনজ্বলা ফাগুনে
ফাগুন এলেই আগুন জ্বালেলাল পলাশের বন–ফাগুন এলেই আগুন জ্বালেদুঃখী মায়ের মন।সেই যে কবে ‘আসছি’ বলেদুষ্টু খোকা তারবেরিয়ে গেল নিশান হাতেফিরল
একুশ মানে
একুশ মানে, মায়ের ভাষা,বোনের বুলি।একুশ মানে, বাবার কথা,গানের কলি।একুশ মানে, রক্তে ভেজা,দুঃখ ভরা দিন।একুশ মানে, সুখ জাগানো,হৃদয় গাথা বীন।একুশ মানে,ভাষার
বুকের বাংলা ভাষা
যত দূরেই যাচ্ছিতোদের পায়ের শব্দ পাচ্ছি।তোরা আমার সঙ্গ ছাড়িস না,আঁচল পেতে আছেন বসেঐ আমাদের মা,একজোটে ঐ দুঃখিনীটির ঘরের দাওয়ায় যাবো খুঁদকুড়ো
উনিশে মে আর একুশে ফেব্রুয়ারি
বুকের রক্ত মুখে তুলে যারা মরেওপারে ঢাকায় এপারের শিলচরেতারা ভালোবাসা-বাংলাভাষার জুড়ি—উনিশে মে আর একুশে ফেব্রুয়ারি। সিঁদুর কুড়িয়ে নেওয়া যায় এক
তুমি কোনোদিন কাউকে বলো না
তুমি কোনোদিন কাউকে বলো না—–কবিতা এখন আমাকে ফাঁকি দিয়ে বর্ণমেলার হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে টি এস সি থেকে দোয়েল চত্বর,হাকিম চত্বর,বাংলা
অমর একুশে
আম্মা তাঁর নামটি ধরে একবারও ডাকবে না তবে আর?ঘূর্ণি ঝড়ের মতো সেই উম্মথিত মনের প্রান্তরেঘুরে ঘুরে জাগবে, ডাকবে,দুটি ঠোঁটের ভেতর
আমাদের এই বাংলাদেশ
সূর্য ওঠার পূর্বদেশ বাংলাদেশ ।আমার প্রিয় আপন দেশ বাংলাদেশ ।আমাদের এই বাংলাদেশ । কবির দেশ বীরের দেশ আমার দেশ স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ ।ধানের দেশ
বাঙলা ভাষা
শেকলে বাঁধা শ্যামল রূপসী, তুমি-আমি, দুর্বিনীত দাসদাসী-একই শেকলে বাঁধা প’ড়ে আছি শতাব্দীর পর শতাব্দী।আমাদের ঘিরে শাঁইশাঁই চাবুকের শব্দ, স্তরে স্তরে