কাজী নজরুল ইসলাম
আমার কোন কুলে আজ
আমার কোন কুলে আজ ভিড়লো তরীএ কোন সোনার গাঁয়?আমার ভাটির তরী আবার কেনউজান যেতে চায়?দুখেরে কান্ডারী করিআমি ভাসিয়েছিলাম ভাঙ্গা তরীতুমি
অকরুণ পিয়া
আমার পিয়াল বনের শ্যামল পিয়ার ওই বাজে গো বিদায়বাঁশি,পথ-ঘুরানো সুর হেনে সে আবার হাসে নিদয় হাসি।পথিক বলে পথের গেহবিলিয়েছিল একটু
আঁধারে
অমানিশায় আসে আঁধার তেপান্তরের মাঠে;স্তব্ধ ভয়ে পথিক ভাবে,– কেমনে রাত কাটে!ওই যে ডাকে হুতোম-পেঁচা, বাতাস করে শাঁ শাঁ!মেঘে ঢাকা অচিন
অভিযান
নতুন পথের যাত্রা-পথিকচালাও অভিযান !উচ্চ কণ্ঠে উচ্চার আজ“মানুষ মহীয়ান !”চারদিকে আজ ভীরুর মেলা ,খেলবি কে আর নতুন খেলা ?জোয়ার জলে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে–মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসেআজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে। আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে
মানুষ
গাহি সাম্যের গান-মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে
কোথায় ছিলাম আমি
মা গো! আমায় বল্তে পারিস কোথায়ছিলাম আমি-কোন্ না-জানা দেশ থেকে তোরকোলে এলাম নামি?আমি যখন আসিনি, মা তুই কি আঁখিমেলেচাঁদকে বুঝি
কাণ্ডারী হুশিয়ার!
দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবারলঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার! দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভূলিতেছে মাঝি পথ,ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল,
ঝিঙে ফুল
ঝিঙে ফুল! ঝিঙে ফুল।সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল –ঝিঙে ফুল।গুল্মে পর্ণেলতিকার কর্ণেঢলঢল স্বর্ণেঝলমল দোলো দুল –ঝিঙে ফুল॥পাতার দেশের পাখি বাঁধা
প্রভাতী
ভোর হলো দোর খোলোখুকুমণি ওঠো রে!ঐ ডাকে যুঁইশাখেফুল-খুকি ছোট রে!খুকুমণি ওঠো রে!রবি মামা দেয় হামাগায়ে রাঙা জামা ঐ,দারোয়ান গায় গানশোনো
খোকার সাধ
আমি হব সকাল বেলার পাখিসবার আগে কুসুম-বাগে উঠব আমি ডাকি।সূয্যিমামা জাগার আগে উঠব আমি জেগে,‘হয়নি সকাল, ঘুমো এখন’- মা বলবেন