জীবনমুখী কবিতা
তুমি
তুমি শিল্পিত বৃক্ষের চূড়ও দেবদারুর মতোমুগ্ধ কিন্নরের অবিনাশী গান!অকরিক লোহার খনিজে ভরা অন্ধকার বস্ত্র ও আগুন!তুমি অহোরাত্রি শুধু বিশুদ্ধির!উটপাখির যুগল
বদলে যাও, কিছুটা বদলাও
কিছুটা বদলাতে হবে বাঁশীকিছুটা বদলাতে হবে সুরসাতটি ছিদ্রের সূর্য; সময়ের গাঢ় অন্তঃপুরকিছুটা বদলাতে হবেমাটির কনুই , ভাঁজরক্তমাখা দুঃখের সমাজ কিছুটা
চামেলী হাতে নিম্নমানের মানুষ
আসলে আমার বাবা ছিলেন নিম্নমানের মানুষনইলে সরকারী লোক, পুলিশ বিভাগে চাকরী কোরেওপুলিশী মেজাজ কেন ছিলনা ওনার বলুন চলায় ও বলায়?চেয়ার
তোমার মৃত্যুর জন্য
তোমার চোখের মতো কয়েকটি চামচ পড়ে আছে দ্যাখো প্রশান্ত টেবিলেআমার হাতঘড়িনীল ডায়ালের তারা জ্বলছে মৃদু আমারই কব্জিতে!ট্যুরিস্টের মতো লাগছে দেখতে
পাখি হয়ে যায় প্রাণ
অবশেষে জেনেছি মানুষ একা!জেনেছি মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা!দৃশ্যের বিপরীত সে পারে না একাত্ম হতে এই পৃথিবীর
তোমার চিবুক ছোঁব, কালিমা ছোঁব না
এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়াতোমার ওখানে যাব, তোমার ভিতরে এক অসম্পূর্ণ যাতনা আছেন,তিনি যদি আমাকে বলেন,
শিকড়
কেঁদুলির মেলা পেরাই তখেন আমাদে রাঙামাটির দেশেফাগুনা হাওয়া বইছে,কচি পলাশের পারা রোদ উঠেছে ঝলমলা,সেই রোদ ধুলা পথে কানা বাউলের আখড়ায়
সংগতি
মেলাবেন তিনি ঝোড়ো হাওয়া আরপোড়ো বাড়িটারঐ ভাঙ্গা দরজাটা ।মেলাবেন । পাগল দাপটে দেবে না গায়েতে কাঁটা ।আকাশে আগুনে তৃষ্ণার মাঠ
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।আমার খাদ্যে ছিল অন্যদের আঙুলের দাগ,আমার পানীয়তে ছিল অন্যদের জীবাণু,আমার বিশ্বাসে ছিল অন্যদের ব্যাপক দূষণ।আমি জন্মেছিলাম
বেলুড়
আমি একটা কোনায় দাঁড়িয়ে দেখছিলাম।দুটি ছেলে গেরুয়া বসন পরেমন্দিরের সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠছিল।এত মন দিয়েআমি কাউকে সিঁড়ি স্নেহ করতে দেখিনিএত
ছাত্রকে লেখা চিঠি
তুমি যেদিন প্রথম এসেছিলে আমার কাছেতোমার হাতে মায়াকভ্ স্কিআর চোখেসকালবেলার আলো বিহার থেকে ফিরে এসে তুমি আবার এলেগলা নামিয়ে, বাষ্প
রূপম
রূপমকে একটা চাকরি দিন—এম. এ পাস, বাবা নেইআছে প্রেমিকা সে আর দু’-এক মাস দেখবে, তারপরনদীর এপার থেকে নদীর ওপারে গিয়ে