জীবনমুখী কবিতা
নান্দী
এসো, ছিনিয়ে নি আমার স্বাধীনতাকথা বলবার স্বাধীনতা,অক্ষরের ডান পাশে অক্ষর বসিয়েশব্দগুলো তৈরী করবার স্বাধীনতাজীবনের স্তোত্র রচনার স্বাধীনতাঅর্থবহ এবং যুক্তিরজ্যোতির্ময় উচ্চারণ
অন্ধকারের গান
এই যুদ্ধের দিনগুলো পেরিয়ে যেতেতুমি বন্ধুর মতো কিছু সাহস দিওওই সঞ্চয় ফলে আছে সময়ক্ষেতেসেই শস্যের রং আজও অতুলনীয় কিছু সাহস
জীবন একটি নদীর নাম
জীবন একটি নদীর নাম,পিতামাতার ঐ উঁচু থেকেনেমে-আসা এক পাগলা ঝোরা—ক্রমশ নিম্নাভিমুখী;পাথুরে শৈশব ভেঙেকৈশোরের নুড়িগুলি বুকে নিয়েবয়ে চলা পরিণামহীনএক জলধারা—গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে
নগর ধ্বংসের আগে
নগর বিধ্বস্ত হ’লে, ভেঙ্গে গেলে শেষতম ঘড়িউলঙ্গ ও মৃতদের সুখে শুধু ঈর্ষা করা চলে।‘জাহাজ, জাহাজ’ – ব’লে আর্তনাদ সকলেই করি
চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া
স্পর্শকাতরতাময় এই নামউচ্চারণমাত্র যেন ভেঙে যাবে,অন্তর্হিত হবে তার প্রকৃত মহিমা,-চুনিয়া একটি গ্রাম, ছোট্ট কিন্তু ভেতরে-ভেতরেখুব শক্তিশালীমারণাস্ত্রময় সভ্যতার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। মধ্যরাতে
ত্রিতাল
তোমার কোনো ধর্ম নেই, শুধুশিকড় দিয়ে আঁকড়ে ধরা ছাড়াতোমার কোনো ধর্ম নেই, শুধুবুকে কুঠার সইতে পারা ছাড়াপাতালমুখ হঠাত্ খুলে গেলেদুধারে
সাম্যবাদী
গাহি সাম্যের গান-যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধানযেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুস্লিম-ক্রীশ্চান।গাহি সাম্যের গান।কে তুমি?- পার্সী? জৈন? ইহুদী? সাঁওতাল, ভীল, গারো?কন্ফুসিয়াস্?
মিথ্যাবাদী
মিথ্যা বলেছ বলিয়া তোমায় কে দিল মনস্তাপ?সত্যের তরে মিথ্যা যে বলে স্পর্শে না তারে পাপ।গোটা সত্যটা শুধু তো সত্যকথা বলাতেই
ঈশ্বর
কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?হায় ঋষি দরবেশ,বুকের মানিকে বুকে ধ’রে তুমি
দারিদ্র্য
হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান্।তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মানকন্টক-মুকুট শোভা।-দিয়াছ, তাপস,অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস;উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি, বাণী ক্ষুরধার,বীণা মোর
আমার কোন কুলে আজ
আমার কোন কুলে আজ ভিড়লো তরীএ কোন সোনার গাঁয়?আমার ভাটির তরী আবার কেনউজান যেতে চায়?দুখেরে কান্ডারী করিআমি ভাসিয়েছিলাম ভাঙ্গা তরীতুমি
আমার পণ
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি ,সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে ,আমি যেন সেই কাজ